জানা-অজানা

কীভাবে হবেন আত্মবিশ্বাসী?

ঝিনাইদহের চোখঃ

যে বিষয়টিতে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না একেবারেই, সেটা হলো আত্মবিশ্বাস।

কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সবার মাঝেই কোন না কোন ক্ষেত্রে কমতি থাকে। কিন্তু তার জন্য আত্মবিশ্বাস হারানো চলবে না। নিজের বিশ্বাস, দক্ষতা, সামর্থ্য, গুণাবলী ও নিজের বিচার-বুদ্ধির উপর যথেষ্ট বিশ্বাস রাখার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের সূচনা হয়।

আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী? হুট করে এই প্রশ্নটি করা হলে নির্দ্বিধায় উত্তর ‘হ্যাঁ’ দিতে পারবেন কি?

বর্তমান সময়ে যেকোন স্থানে নিজেকে উপস্থানের জন্য সবার আগে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। ‘আমি এটা অবশ্যই করতে পারবো’ এমন আত্মবিশ্বাস থেকেই নিজেকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এটা সত্যি যে, আত্মবিশ্বাস একদিনে বা হুট করে তৈরি হয় না। তার জন্য নিজের প্রতি খেয়াল রাখার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসী হবার অভ্যাসটাও চালিয়ে যেতে হয় সমানভাবে।
অন্যের সঙ্গে তুলনা বন্ধ করতে হবে

এই অভ্যাসটি আমাদের সবার মাঝেই কম-বেশি থাকে। নিজের সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক সকল বিষয়ে অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারে যে অভ্যাসটি বেড়ে গেছে আরও বেশ অনেকটা। কিন্তু এই কাজটি পরোক্ষভাবে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরায়। তাই নিজের অবস্থানে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে ও অন্যের সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।
নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে

শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে যতটা সুস্থ রাখা যাবে, ততটাই আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে। যা খুবই সাধারণ ও সরল একটি হিসেব। ২০১৬ সালে ‘নিউরোসাইকিয়াট্রিক ডিজিজ অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশ করে, যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে ও নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখে তাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা অন্যান্যদের চাইতে অনেকটা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের স্থানটি দৃঢ়তা পায়।
নিজেকে সন্দেহ করা বন্ধ করতে হবে

নিজের প্রতি অবিশ্বাস, সন্দেহ ও নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানোর মাধ্যমে খুব সহজেই আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রকাশ পায়। যে কাজই করতে যাবেন সেটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সেখানেই সমস্যা দেখা দিবে- এমন অমূলক চিন্তার পেছনে লুকায়িত থাকে আত্মবিশ্বাসের অভাব। খুব সামান্য বিষয়েও নিজের মাঝে দৃঢ়তা ধরে রাখার অভ্যাসটি থেকেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যদি কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকে তবে সে বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সে বিষয়ের জন্য নিজের প্রতি সন্দেহের তীর ছোঁড়া যাবে না কোনভাবেই।
মেনে নিতে হবে অসফলতাকে

এটা যদি ভেবে থাকেন, যেকোন কাজে প্রথমবারেই সফলতা আসবে তবে খুব ভুল আপনি। হারের পরেই জয় আসে। তাই কোন কাজে অসফল হলে কোনভাবেই ভেঙে পড়া যাবে না। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো যাবে না। আত্মবিশ্বাসের স্থানটি যদি নড়বড়ে হয়ে যায় তবে কোনভাবেই পরবর্তী ধাপে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই যেকোন কাজে অসফলতা, হারকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করতে হবে। কোথায় ভুল হয়েছে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে আত্মবিশ্বাসের স্থানটি আরও মজবুত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button