অন্যান্য

বনানীতে আগুন; নিহত ৩, আহত বহু

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক: রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যে তা পাশের অপর একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় বাঁচতে ভবনের নিচে নামতে চেষ্টা করছেন আটকে পড়া বহু মানুষ। অনেকে জানালা দিয়ে গ্রিল ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেমেছেন। আবার অনেকে বাঁচতে গিয়ে ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে আগুন লাগলেও দুপুর ৩টা ৫৪ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আগুনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক খবরে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে দায়িত্বশীল কেউ এ খবর নিশ্চিত করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আরও জানান, একজন দড়ি দিয়ে নামার সময় ঠিকমতো ধরতে না পারায় অনেক ওপর থেকেই সরাসরি মাটিতে পড়ে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া ভবনের ভেতর এখনও আটকা আছেন অনেকে। তারা ভেতর থেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। ভবনটির ভেতর থেকে পাঠানো এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় এক নারী বলছিলেন, সিঁড়ি না পাঠালে মারা যাবো, দ্রুত সিঁড়ি পাঠান। আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।

আগুন লাগার পর ওই ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৪জন।

বনানী থানার ডিউটি অফিসার রকিবুল জানান, আগুনের কারণে নতুন বাজার থেকে গুলশান-২ হয়ে বনানী এবং কাকলি থেকে বানানী পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া থানা থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স এফআর টাওয়ারের চারপাশে মোতায়েন রাখা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে কারণেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এনায়েতউল্লাহ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে।

আটকা পড়া অনেকে আবার রশি বেয়ে নামার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে অন্তত দুইজন রশি বেয়ে নামতে সক্ষম হয়েছে। তবে, এখনও ভেতরে আটক পড়ে আছে অনেক মানুষ।

ভবনটিতে দুপুর একটার দিকে আগুন লাগে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করছেন, ভবনের নীচে থেকেই আগুন লেগেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button