ঝিনাইদহের দু’শ বছরের ঐতিহাসিক মন্দিরটিই হতে পারে পর্যটন স্পট

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কুশনা ইউনয়নের ইকড়ায় প্রায় দু’শত বছরের পুরাতন মন্দির আজো মাথা উঁচু করে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। এক সময় জৈলুস হারালেও জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পুরাতন কৃত্তিটি সংস্কার করা হয়েছে। যেখানে সন্ধায় চানচিকা আর ভুতুড়ে এলাকায় পরিনত হত। সেখানে আজ আবার ভক্তের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যেই দুর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থি আসেন পুরানে মন্দিও দু’টি দেখতে।
বয়োবৃদ্ধ মল্লিক কর্মকার বলেন, গ্রামের চিত্রা নদীর পাড়ে রাঁধা খেপা নামের ধর্মানুরাগি আস্তানা গড়ে তোলেন। তার ভক্ত ছিলেন- রাখাল চরন খেপা, বানছা চরন খেপা, মহানন্দা খেপা, মাধব চরন খেপা, ধ্রæপদিবালা খেপা। পরবর্তিতে হিন্দু শাসনের অবসান হলে মন্দিও দু’টি জরাজির্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর মন্দির দু’টি অবস্থিত। যা ভুমি দশ্যুদের নজরে আসলে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। কিন্ত জমি দখল নিতে পারেনি, তবে পুরাতন গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে।
মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক সুফল অধিকারি বলেন, মন্দির দু’টি জরার্জীন অবস্থায় ছিল। জেলা পরিষদ ও ভক্তদের সহযোগিতায় কোন রকম সংস্কার করা হয়েছে। এখন সন্ধা হলে পুঁজা অর্চনা চলে। এছাড়া সপ্তাহে নাম যজ্ঞের আয়োজন থাকে।
বাংলাদেশ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের ঝিনাইদহ শাখার সভাপ্রতি অমল কুমার বিশ^াস বলেন, প্রায় দু’শ বছরের কৃত্তিটি এক সময় প্রায় ধ্বংসের উপক্রম হয়েছিল। কোন রকম ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। যা খুবই অরক্ষিত ভাবে আছে। সঠিক ভাবে রক্ষনের জন্য সীমানা প্রাচীর দিলে পুরাতন কৃত্তিটির শোভা বর্ধন হবে। অন্যদিকে স্থানটি সংরক্ষন করা গেলে নদী পাড়ে দর্শনীয় স্থান হতে পারে।