ঝিনাইদহে ২১টি সিনেমা হলের মধ্যে ২টি কোনরকমে টিকে আছে
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের বেশিরভাগ সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ি লোকসান, নিম্নমানের ও অশ্লীল সিনেমা, আকাশ সংস্কৃতি এবং সিনেমা হলগুলোর অস্বাস্থকর পরিবশেই এ সব হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুল কারন হিসাবে জানা গেছে। সাধারন মানুষের একমাত্র অন্যতম বিনোদনের স্থান ছিল এ সব সিনেমা হল। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার অধিকাংশ সিনেমামধি দর্শকেরা ভিনদেশী আকাশ সংস্কৃতির দিকে ঝুকে পড়েছে। ফলে দেশীয় সংস্কৃতি প্রায় ভুলতে বসেছে তারা।
ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ২১টি সিনেমা হল চালু ছিল। এক সময় এ সব সিনেমা হলে দর্শক ভীড় জমাত। বিশেষ করে ঈদ, পুজা-পার্বন ও পহেলা বৈশাখসহ বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে এ সব সিনেমা হল গুলোতে দর্শকদের ঢল নামত। সে সময় যে সব সিনেমা তৈরী হত তা পরিবারসহ দেখার পরিবেশ থাকায় দর্শকদের এ ধরনের সমাগম বেশি হত।
৯০ দশকের পর থেকে নির্মিত চলচিত্রগুলোতে অশ্লীল ও কাটপিচ সম্বলিত সিনেমা বাজারে আসতে শুরু করার পর থেকে পরিবারসহ সিনেমা হলে আসা দর্শক কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে সুস্থ চলচিত্র প্রদর্শনের অভাবে দর্শক প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে জেলায় ২১ টি সিনেমা হলের স্থানে এখন মাত্র ২টি হল কোনরকম টিকে আছে। বাকি হলগুলো গাড়ির গ্যারেজ, মালামাল রাখার গো-ঢাউন, আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহ্রত হচ্ছে। জেল প্রিয়া সিনেমা হল ও কালীগঞ্জ ছন্দাসহ উপজেলা শহরে আরও একটিসহ ২টি সিনেমা হল এখনও লোকশান দিয়েও টিকিয়ে রয়েছে।
হলমালিকেরা জানান, ব্যবসায়ে লোকশান, ভাল ছবি নির্মানের অভাব, অশ্লীল ছবি ও আকাশ সংস্কৃতির কারনেই হল ব্যবসা ধস নামার মুল কারন।
অন্যদিকে দর্শকদের বক্তব্য বর্তমানে ভাল সিনেমা তৈরীর অভাব, সিনেমা হলগুলোর সংস্কার ও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে জানান। এ কারনে পরিবার নিয়ে সুস্থ পরিবেশে হলে বসে সিনেমা দেখার কোন উপায় নেই।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, সিনেমা আমাদের ঐতিহ্যেও একটি বিরাট অংশ। সরকার এ ঐতিহ্য ও শিল্পকে টিকিয়ে রাখার ব্যাপাওে যা যা করার সে উদ্যগ নেবে বলে তিনি জানান।