দিদার মিয়ার জীবণ যুদ্ধের গল্প
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
আসমানীদের দেখতে জসীমউদ্দীনের সেই ছোট্ট ঘর রসুলপুরে যাওয়া লাগছে না। এমন ঘর দেখতে ঝিনাইদহ -ঢাকা মহাসড়কের চক্ষু হাসপাতালের বিপরিত পাশের এলাকাতে গেলেই দেখা মিলবে ।
ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর মোল্লা পাড়া গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার ছেলে মোঃ দিদার মিয়া (৭২)
দেখা গেছে, তার কোন ঘর নেই। শীত নিবারণের জন্য নেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। ঝিনাইদহ -ঢাকা মহা সড়কের চক্ষু হাসপাতালের বিপরিত পাশে পলিথিন দিয়ে কোন মতে প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে দিন কাটাচ্ছেন।
ছোট কালেই তার বাবা মারা যায়, যা সম্মত্তি ছিল তার বাবার আমলেই বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। এতিম দিদার মিয়া কামলা খেঁটে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। আজ থেকে ১৭ বছর আগে কাজের জন্য রাজবাড়ী যাওয়ার পথে হকাররা চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ফেলে দেয়। পরে একটি নদী থেকে শেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে ফরতিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তারপর থেকে আর তেমন সুস্থ্য হতে পারেননি মোঃ দিদার মিয়া। কাজ করতে না পারায় স্ত্রীও সন্তান সহ তাকে ফেলে চলে যায়। জমিজমাহীন দিদার ৭২ বছর বয়সে এখন বড় অসহায়।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর নানা সুযোগ-সুবিধা বর্তমানে চালু থাকলেও তার কপালে জোটেনি কিছু। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, তারাও তার কোন খোঁজ খবর রাখে না।
এবারের শীতে সরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করলেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটি কম্বলও। তিনি শীতের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মো: দিদার মিয়া সরকারের কাছে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও থাকার জন্য একখানা ঘর চেয়েছেন। কিন্তু কে শুনবে তার আকুতি?