বৈশাখ এসেছে শহরের অলিগলিতে–সাহিদুল এনাম পল্লব
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ছোট্ট বেলায় বৈশাখ বলতে বুঝতাম প্রচণ্ড চৈত্রর তাপদহ উপেক্ষা করে বৃষ্টি। চৈত্রের শেষ বিকালে ঝড় বৃষ্টি। সকাল বেলা গ্রামের সকলে বাসী পান্তা খেয়ে লাঙ্গল গরু ও মাথায় ধান, পাটের বীজ নিয়ে মাঠে ছুটাছুটী করত।
গ্রামীণ জীবনে কৃষকের প্রচণ্ড ব্যস্ততা। জমিতে ফসল বুনে শেষ করতে হবে। বাবা বলত যে মাঠে ফসল বুনা বুনি শুরু হয়ে মা মারা গেলেও তাকে কুলার নীচে ঢেকে রেখে মাঠে কৃষকের ফসল বুনতে হয়। এই বৈশাখীর মাটির জো চলে গেলে এই বছর আর ফসল বোনা হবে না।
তাহলে কৃষকের পরিবারের সারা বছর না খেয়ে থাকতে হবে। বিকালে ঝড় উঠলে আম কুড়াতে হবে। কি যে আনন্দ হত। আজ আর বৈশাখে গাছের আম পাকে না। বৈশাখ মাস আসার আগেই শ্যাল দিয়ে পানি উঠায়ে পাট বোনা হয়ে গেছে। এখন আর মাঠে কেউ আউস ধান বোনে না।
গরুর লাঙ্গল নেই। গ্রামে আর বোঝার উপায় নেই বৈশাখ। বৈশাখ এখন শহরে চলে এসেছে।
শহরের মানুষ এখন বিলাস করে পান্তা ইলিশ খায়, সুন্দর সুন্দর কাপড় পড়ে র্যালি করে সকল কে জানায় আজ পহেলা বৈশাখ।