
ঝিনাইদহের চোখঃ
মাত্র তিন বছরের মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট কোর্স করেই নামের আগে ডা. পদবি লাগিয়ে নিয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মো. সুমন হোসেন। হয়ে গেছেন মা ও শিশুবিষয়ক চিকিৎসক!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. সুমন হোসেন ফরিদপুরের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট থেকে তিন বছর মেয়াদি একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট পেশাদার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হন।
এই সার্টিফিকেট দিয়েই তিনি নামের আগে ডাক্তার পদবি লাগিয়ে বনে গেছেন ও মা ও শিশুবিষয়ক চিকিৎসক। শহরের নিমতলায় নিজের মালিকানাধীন ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ও কথিত মা ও শিশুবিষয়ক চিকিৎসক মো. সুমন হোসেন বলেন, আমি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (BM&DC) রেজিস্ট্রেশনকৃত। আমি রোগী দেখতে পারি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, এমবিবিএস পাস ছাড়া কেউ নামের আগে কেউ ডাক্তার পদবি লিখতে পারেন না। মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট কোর্স করে নামের আগে ডাক্তার লেখার কোনো সুযোগ নেই। আর মা ও শিশুবিষয়ক চিকিৎসক সে কীভাবে হবে। আমি এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাতে কালীগঞ্জ শহরের নিমতলায় মো. সুমন হোসেনের মালিকানাধীন এই ইসলামিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার প্রফুল্ল কুমারের ভুল অপারেশনে সোনালী খাতুন (২১) নামে এক প্রসূতি মায়ের মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।