শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইজিবাইক ,নছিমন , করিমন ও লটাষ্ঠান। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সাথে দুর্ভোগ বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী রোগী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। সড়কের উপর যত্রতত্র পাকিং করে রাখার কারণে প্রায় ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
শহর ঘুরে দেখা যায়, কালীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে , কালীবাড়ী, সলিমুননেছাবালিকা বিদ্যালয়,কোলারোড, নলডাঙ্গা রোডে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে এসবষ্ঠান । এদের নেই কোন পৌরসভার লাইসেন্স । নিয়মনীতি না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যাংকের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা ইজিবাইক ফেলে রাখা হয় । যার কারনে শহরে সৃষ্ঠি হয় যানজট । ঘন্টার পর ঘন্টা ইজিবাইকগুলি সড়ক দখল করে রাখে যার ফলে হাসপাতালগামী রোগী স্বজন ও স্থানীয়দের ভোগান্তিতে পড়তে হয় ।
এ ছাড়াও শহরের হাসপাতাল সড়কে গড়ে তোলা হয়েছে চাপরাইলবাজার, কোলাবাজার, দামদারপুর , গাজিরবাজার , মল্লিকপুর, টবাজার, হেলাই গ্রামের ইজিবাইক ষ্ঠান । প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে ইজিবাইক, নছিমন, করিমন থেকে প্রতিদিন সিলিপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা চাদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ।
ব্যবসায়ী গোলাম আজম অভিযোগ করেন, সড়কের পাশে ইজিবাইক থাকায় তাদের চলাচল করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার পাশে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান রেখে লোড আনলোড করার সময় অনেক সময় যানজট লেগে যায়।
হাসপাতাল সড়কের ব্যবসায়ী সদরউদ্দীন মিয়া অভিযোগ করেন, পৌর সভার নির্দিষ্ট স্থানে পাকির্ং রাখার নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছেন না। যে কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, রাস্তার পাশের যেখানে সেখানে ইজিবাইক রাখা যাবেনা যদি কেউ রাখে যানজট তৈরী করে তাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিয়ে পৌরসভা সকল প্রকার সহযোগিতা করবে ।