ঝিনাইদহে বিলুপ্তপ্রায় গাব গাছ
শেখ ইমন, ঝিনাইদহের চোখঃ
গ্রাম বাংলায় যে গাছকে মানুষ সবথেকে বেশি ভয় পেত সেটা হল গাব গাছ ।গাব গাছকে নিয়ে সারাজীবনই মানুষের মনে একটা ভুল ধারনা ছিল ।তারা ভাবতো গাব গাছে ভুত প্রেতের বসবাস ।কিন্তু তাদের এই ধারনাটা ভুল ছিল এটা তারা মানতো না ।এসব কুসস্কার থেকে আজও তারা বের হতে পারেনি ।এর কোনো প্রমাণ না পেলেও তারা এইসব কুসংস্কার মনে প্রানে বিশ্বাস করত ।
একসময় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রচুর দেশি গাব গাছ দেখা যেত ,কিন্তু ক্রমবিবর্তনে এই গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে ।এই গাছে ছিল পেঁচার মত প্রানীর বসবাস ।পেঁচা এই গাছকে নিরাপদ মনে করে এই গাছে বসবাস করতো ।অধিক উপকারি এই গাছ জেলেদের জালকে মজবুত করার জন্য ব্যাপক ভুমিকা পালন করতো ।জেলেদের জালকে মজবুত করার জন্য গাব থেকে নির্গত কষযুক্ত আঠা ব্যাবহার করতো ।এছাড়াও এই আঠা পশুর চামড়া ও নৌকাই মাখানো হত ।
উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখলে দেখা যায়, গাব গাছের সংখ্যা অধিকতর কমে গেছে ।গ্রামের কিছু মানুষের ধারণা গাব গাছ কমে যাওয়ার কারনে পেঁচার সংখ্যাও কমে গেছে ।এছাড়াও গ্রামের কিছু জেলেরা বলে, আগে জালে গাবের কষ দিতাম যার ফলে জাল অনেক টেকসই হত, কিন্তু এখন গাব গাছের কমতির কারনে জালে না দিতে পারায় জাল বেশিদিন টেকশই হচ্ছেনা ,নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
এলাকাবাসির দাবি এই গাব গাছ বৃদ্ধি করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেকে টিকিয়ে রাখা ।