ঝিনাইদহে জামিরুল খুনের ক্লু ও মোটিভ উদ্ধারে মাঠে পুলিশ

ঝিনাইদহের চোখঃ
অনেক দিন ধরে গুলি করে মানুষ খুন করার প্রবনতা ছিল না ঝিনাইদহে। সদর উপজেলার কুবিরখালী গ্রামে জামিরুল ইসলাম (৩৭) নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশ ও র্যাব নড়েচড়ে বসেছে। আইন শৃংখলা বাহিনী এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুবিরখালী গ্রামের শাহজাহানের ছেলে হাসান ও নিহত জামিরুলের সঙ্গী বাবুলের ছেলে মিলনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে কোন বিরোধের জের ধরে কারা জামিরুলকে খুন করেছে ?
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জামিরুল এক সময় শিবিরের কর্মী ছিল। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার জামিনে মুখ্য ভুমিকা রাখেন মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল। সেই থেকে মায়ের পরামর্শে আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েলের সর্বকাজে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কাজ করতে থাকে জামিরুল। গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে জোরালো ভুমিকা পালন করেন জামিরুল।
সুত্রমতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাজারগোপালপুর থেকে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা জে এম রাশিদুল আলমের দোয়াত কলমের লোকজনকে বিতাড়িত করে নৌকার সমর্থকরা। মুলত এই নিয়ে বিরোধের সুত্রপাত বলে মনে করছে মধুহাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এ কথা স্বীকার করে মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য ফারুক আহম্মেদ জুয়েল গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হতে পারে। জামিরুল নৌকার পক্ষে ভোট করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আবার তৃতীয় পক্ষ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে কারো ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে গনমাধ্যমকে দেওয়া মধুহাটীর চেয়ারম্যান ফারুকের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে পুলিশ তদন্তে মাঠে নেমেছেন বলে শনিবার সাংবাদিকদের জানান ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস। তিনি বলেন দ্রুতই আমরা হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে পারবো। উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে জামিরুল ইসলাম আটলিয়া বাজার থেকে মিলন হোসেন নামে তার এক সহযোগীর সাথে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কুবিরখালি গ্রামের খালপাড়ে আসলে দুর্বৃত্তরা রাস্তার উপর কলাগাছ ফেলে তাকে গতি রোধ করে মাথায় এবং বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়।