জানা-অজানা

ভাতশালিক পাখি পরিচিত

 

ঝিনাইদহের চোখ:

বাংলাদেশে শহর ও গ্রামে খুবই পরিচিত একটি পাখি ভাত শালিক। এই পাখি বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। দিনের শুরুতে যেসব পাখির ডাক খুব বেশি শোনা যায় তার মধ্যে এই ভাতশালিক অন্যতম। এরা বিভিন্ন ভাবে ডাকতে ও শিস দিতে পারে। এই প্রজাতির শালিকের দেহের অধিকাংশ জুড়ে রয়েছে বাদামি রঙ। ঝুঁটশালিকের মত এদের কোন ঝুঁটি নেই। মাথা ও ঘাড়ের অংশ কালো রঙের, বাকি অংশ কালো। এদের ডানায় সাদা রঙ রয়েছে যা ওড়ার সময় বেশি চোখে পড়ে। পুরুষ এবং স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম।

প্রচলিত ধারণা হল ভাতশালিক সারা জীবনের জন্য জুটি বাঁধে। প্রতিকুল পরিবেশ না হলে এই পাখি সাধারণত একই স্থানে বসবাস করে। এরা গাছের প্রাকৃতিক খোড়ল এবং দালান কোঠার ফাক ফোকরে বাসা বানায়। মার্চ থেকে এপ্রিল এদের প্রজনন মৌসুম। স্ত্রী শালিক একবারে ৪-৬ টি ডিম পাড়ে, বাচ্চা হতে ১৭-১৮ দিন লাগে। তারা জন্মের ২২-২৪ দিনের মধ্যেই ওড়া শিখে যায়।

অন্য সব প্রজাতির শালিকের মত এই শালিকও প্রায় সর্বভুক।

পাতিময়নার মত না হলেও এরা মানুষের কথা ও বিভিন্ন শব্দ অনুকরণ করতে পারে তাই কথা বলা পাখি হিসেবে এই শালিক পালন করা হয়।

উদ্বেগের বিষয় হল দেশের সব স্থানে ও পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও বিগত কয়েক বছর বাগেরহাট অঞ্চলে মানুষ পোষার জন্য প্রচুর বাচ্চা পাখি ধরে খাঁচায় বন্দি করে বাসা বাড়িতে পালন করছে এবং দিন দিন এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে বাগেরহাট অঞ্চলে এই পাখির সংখ্যা আগের থেকে অনেক হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button