সুচিত্রা সেনের চরিত্রে ঋতুপর্ণা
ঝিনাইদহের চোখঃ
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ ছিলো সারা বাংলা। প্রেম, হাসি, কান্না, স্ত্রী-সংসার, বাঙ্গালিয়ানা, মাতৃত্ব, মমতা আর আবেদনের প্রাণবন্ত নাম সুচিত্রা সেন। তার অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ছবি হলো ‘দত্তা’। ১৯৭৬ মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।
ওই ছবি মুক্তির ৪৩ বছর পরে আবাও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দত্তা’ অবলম্বনেই ছবি নির্মাণ করছেন নির্মল চক্রবর্তী। ৪৩ বছর পরে আগে যেই চরিত্রটিতে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন সুচিত্রা সেন, সেই ‘বিজয়া’র চরিত্রে এবার অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
বোলপুরের কামারপাড়ায় হয়েছে ছবিটির প্রথম অংশের শুটিং। মহানায়িকার অভিনীত চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘অনেকদিন পর আবার ‘দত্তা’ হচ্ছে। এর আগে সুচিত্রা সেন এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেটা আমার কাছে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। দেখা যাক আমরা নতুন কী করতে পারি। চেষ্টা করব ভাল করার।’
নির্মল চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ছবিটা করার ভাবনা গত বছরের। প্রথমে অন্য গল্প ভাবছিলাম তারপর মনে হল সাহিত্য নির্ভর গল্প হলে ভাল হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই গল্পটা আমার প্রিয়। তাছাড়া এই বছর ‘দত্তা’ উপন্যাসের একশো বছর। ১৯১৯ সালে এই উপন্যাস লেখা শেষ হয়। আর এটা ২০১৯।
যে স্ক্রিপ্ট লিখেছি সেটা উপন্যাসের গল্প বজায় রেখেই। খুব বেশি কিছু বদলাইনি। আমি পুরনো সময়টাকেই ধরতে চাই। বিজয়ার চরিত্রে ঋতু, নরেনের চরিত্রে জয় সেনগুপ্ত, বিলাসের চরিত্রে ফিরদৌস, রাসবিহারীর চরিত্রে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং দেবলীনা কুমার রয়েছেন একটি চরিত্রে। এখানে শুটিংয়ের পর একটা দেড় মাসের গ্যাপ আছে। তারপর আবার কলকাতায় শুটিং হবে। এই বছরেই ছবি রিলিজ করব।’
এদিকে কলকাতায় এই ছবিটির শুটিং করতে গিয়েছিলেন ফেরদৌস। ছবির শুটিং শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। ছবির শুটিং করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফেরদৌস আহমেদ।
এই বিষয়ে ‘দত্তা’ ছবির পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার ছবির প্রায় ৮০ শতাংশ ইনডোরের শুটিং বাকি। জুনে আবার শুটিং শুরু করার পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি ততদিনে সমস্যা থাকবে না। প্রায় ২০ বছর ধরে ফেরদৌস কলকাতায় আসছে, কাজ করছে। একটা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছে, তার জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেছে। মনে হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে।’