ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আগুনের গুজবে লংকাকান্ড

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ গনপুর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার সময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটে গেছে। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশাররের গন্ধ হাসপাতালে ঢুকে পড়লে ভর্তিকৃত শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ আগুন আতংকে হুড়োহুড়ি করে মুহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় অনেক রোগীর শরীরের স্যালাইন পুশ করা অবস্থায় দেখা গেছে।

অনেক অন্ধ, বোবা ও পঙ্গু মানুষকে স্বজনদের কাঁধে হাত দিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ভেষজ বাগানে ছোট পরিসরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব আলীসহ ঠিকাদারের লোকজন জড়ো হয়।

এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গন্ধ পেয়ে রোগীরা আগুন আতংকে হাসপাতাল ছেড়ে কথা বালিশ নিয়ে শরীরে স্যালাই, রক্তের ব্যাগ ও ইনজেকশন পুশকরা অবস্থায় বাইরে বেড়িয়ে আসে।

এ সময় অনেককে চিৎকার চেচামেচি করতে দেখা গেছে। রোগী ও তার স্বজনদের উদ্বেগাকুল পরিস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা এসে দেখান কোন আগুন লাগেনি। গনপুর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার মহড়া চলছিল।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলিপ কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের পরীক্ষা করতে হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আইয়ুব আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের মহড়া চালানো আমাদের উচিৎ হয়নি। পরীক্ষার আগে রোগীদের আশ্বস্ত করা উচিৎ ছিল।

ঝিনাইদহ প্রকৌশলী গনপুর্ত ধিদপ্তরের উপ-সহকারী ফিরোজ আলী বলেন, আগুন নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছোট পরিসরে আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম। কিন্তু রোগীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে আতংকিত হয়ে পড়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button