ঝিনাইদহের পশু হাটে কালেকশনের নামে চলছে রাজস্ব ফাকি
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা পশুর হাট সরকারী ভাবে বরাদ্ধ না হওয়ায় খাশ কালেকশন শুরু করেছে। আর এই খাশ কালেকশনের নামে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। এতে করে সরকারের রাজস্ব ফাকির মহৎসবে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ব্যক্তির পকেটে যাচ্ছে এই হাটের টাকা। প্রতি মঙ্গলবার সকাল হলেই শুরু হয় বৈডাঙ্গা পশু হাটে ঐসব প্রভাবশালীদের আনাগুনা আর তা শেষ হয় গভীর রাত পর্যন্ত টাকা ভাগাভাগির পর।
গোপনসূত্রে জানা গেছে গত ১৬এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলা ১৪২৬ সালের বছরের প্রথম হাটে সরকারী কোষাগারে জমাদেওয়ার জন্য মাত্র ২০ হাজার টাকা জমা রাখা হয়েছে বলে জানাগেছে তাছাড়া আজ ২৩এপ্রিল মঙ্গলবার মাত্র ১৭ হাজার টাকা জমা হবে ।
জানাযায় গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলা বছরের শেষ হাটে হাটের মালিকানা থাকা কালিন সময়ে এই হাটে আদায় হয়েছিল ৬০হাজার টাকা বলে জানান পুরাতন হাট মালিকরা। তারা আরও জানান গত বছরে প্রতি মঙ্গলবার ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত আদায় করেছে, তাছাড়া ঈদের হাট গুলোতে লক্ষাধিক টাকার বেশী আয় হতো।
বৈডাঙ্গা পশুহাট সম্পর্কে সাগান্না ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার সহকারী মিলন হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান আমি এব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারব না। ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন জানান দুই হাটের টাকা একবারে জমা করা হবে। তবে কত টাকা উঠেছে তার সঠিক তথ্যদিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এভাবে চলতে থাকলে এই হাট থেকে প্রতি বছর ২০লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাবে সরকার বলে এলাকাবাসী মনে করেন এবং তারা জানান এলাকার এই ঐতিহ্যবাহী হাটটি এসব প্রভাবশালী মহলের হাত থেকে রক্ষা করে পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকৃত হাট ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারাদিলে হাটটি রক্ষা পাবে এবং সরকার প্রকৃত রাজস্ব পাবে।