ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে ফের সংগঠিত হচ্ছে তারা?

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও সদর উপজেলার কোনো কোনো এলাকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে চরমপন্থিরা। তারা সংখালঘুদের বাড়িতে চাঁদাবাজি করছে। ইতিপূর্বে চরমপন্থি দলগুলো দমনের পর অনেক দিন মানুষ শান্তিতে ছিল।

স্থানীয় লোকজন, ইউপি চেয়ারম্যান ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর, আবাইপুর ও দুধসর ইউনিয়নের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কোনো কোনো গ্রামে তারা রাতে হাজির হচ্ছে চাঁদা দাবি করছে। শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার ইউনিয়নের ব্যসপুর গ্রামের বাদশার নেতৃত্বে একটি চরমপন্থি দল গড়ে উঠেছে। এ দলে ১০-১২ জন রয়েছে। তারা খালফলিয়া, বড়ইচারা, শেকরা ও মনোহরপুর গ্রামের হিন্দু বাড়িতে হানা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। ইতোমধ্যে তারা মনোহরপুর গ্রামের কানু গোপালের কাছ থেকে ৭০ হাজার, খালফলিয়া গ্রামের প্রশান্ত মাস্টারের কাছ থেকে ১২ হাজার ও একই গ্রামের রূপক বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে। তবে তাদের ভয়ে মুখ খুলছেন না তারা।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না এলাকায় দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর পূর্ববালার কমিউনিস্ট পার্টির কিছু ক্যাডার গাঝাড়া দিয়ে উঠছে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থি নেতা আব্দুর রশিদ ওরফে দাদা তপন কুষ্টিয়ায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রক্ষিতাসহ নিহত হয়। তার মৃত্যুর পর সহযোগী ক্যাডাররা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের কেউ কেউ এলাকায় ফিরে দল গোছাচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে। তারা ভাড়াটে খুনি হিসাবেও ব্যবহার হচ্ছে।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জিয়ানগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ব্যবসায়ী জামিরুল ইসলাম নিহত হন। ওই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এলাকায় লুকিয়ে থাকা চরমপন্থিরা ভাড়ায় এ খুন করে।

পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, কোনো কোনো এলাকায় চরমপন্থিদের আনাগোনার খবর তার কাছেও আছে। তবে এদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে বলে তিনি জানান।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button