শ্রমিকের মুক্তি—-গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখঃ
শ্রমিকের শ্রমে বিশ্বনগরী আলোময় সবখানে
শ্রমিকেই গড়ে নতুন পৃথিবী যুগে যুগে শ্রমবানে
মাটি খুঁড়ে শ্রমিক মানিক তোলে মৃত্যু যেখানে লেখা
জগৎ স্বর্গ আলোময় করে স্বর্গ হয় না দেখা
কালসাগরের তাল ছাড়া ঢেউ শ্রমিক করে সোজা
বয়ে চলে কুলি দেহের চাইতে আরো অধিক বোঝা
সূর্য্যের সাথে যুদ্ধ দেয় সময়ের সাথে পাল্লা
ভয়ের পাহাড় তুচ্ছ শুধু মনোবল হলো হিল্লা
বিলাস পৃথিবী বিশাল করতে শ্রমিক নিত্য মরে
সম্ভবনার দিন আসে হায় শ্রমিকের হাত ধরে
তবুও শ্রমিক নাকাল পরা শিকল পরা পায়
মধু বয়ে চলে সারাজীবন মৌলিক অসহায়
শ্রমিকের ঘাম!নাই তার দাম পৃথিবীর কোনোখানে
ঝরায়ে চলছে বেলা অবেলায় শান্তির আশাপানে
শিকাগো সড়ক সবদেশে আজ আগের মতই লাল
রক্ত দিয়ে ভরেছে সাগর শোষণে খেয়েছে ভাল
হায় কৃতদাস যায় নিঃশ্বাস মুনিবের কষাঘাতে
হুশ ফেরেনি আজো শ্রমিকে অধিকার গড়ার পথে
ভোগের ভুবনে প্রাণনাশ হবে এ ভয় দেয়া মনে
তাই বুঝি বীর সুপ্ত আজো সাড়া নাই জাগরণে
শ্রমিকের রক্ত সুখের শরাব রংমহল বিলাসে
মূল্য মেলেনি শ্রমিকের শ্রমের বিশ্বের ইতিহাসে
কলকারখায় কাঁদে শ্রমিকের দীপ্ত তাজা লাশ
কবে পাবে বলো বিশ্ব শ্রমিক বাঁচিবার বিশ্বাস?
জীবন চাকা ঘুরে চলছে পায়নি পথের শেষ
ঘুরেফিরে শুধু পায়ের পাপোষ এটাই বুঝি বেশ
নুড়ি পাথরের জীবন থেকে হয়নি উত্তরণ
অবোধ শ্রমিকে জাগেনি আজো শ্রমিক মুক্তিপণ
মুক্তির বাণী শুনে শুনে হায় পীড়নে হয়েছে ক্ষীণ
মুক্তি মেলেনি কোথাও এখনো আসেনি মুক্তি দিন
লোভ দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে আর আমাদের মারিসনে
শ্রমিক হলেও মানুষ আমরা শাসক পিশাচ মুক্তি দে।