অন্যান্য

শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে ‘ফণী’, সংকেত নামিয়ে ৩

ঝিনাইদহের চোখঃ

শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এর ফলে বিপদ সংকেত কমিয়ে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে ফণী’র প্রভাবে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় ছিল।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছিল।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নম্বর দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

এদিকে শনিবার বিকেল ৪টা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষকে বাড়ি ফিরতে বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর ঝড়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের ৫ জেলায় ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে বরগুনার পাথরঘাটায় দুইজন, ভোলা ও নোয়াখালীতে একজন করে মোট চারজন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬৩ জন।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (নং-৪৫) বলা হয়, ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে দুপুর ১২টায় পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কি. মি. বেগে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি. মি. বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ২-৪ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button