অন্যান্য

এক নারী ২৭ বছরে ৩৮ সন্তানের জন্ম!

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্কঃ

মাত্র ২৭ বছরে এক নারী ৩৮ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন! শুনে চোখ কপালে উঠলেও এটাই সত্যি, উগান্ডার এক নারী এই বিরল ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এমনকি বিশাল এই পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন।

বিস্ময় জাগানিয়া এই নারীর নাম মরিয়ম নাবাতানজি। তার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১২ বছর বয়সে। বিয়ের বছরান্তেই জমজ সন্তানের মা হন তিনি। এরপর মোট পাঁচবার জমজ সন্তান তার কোলজুড়ে আসে। জমজ সন্তানের পাশাপাশি তিনটি করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন চারবার। শুধু তাই নয় এক সঙ্গে চারটি করে সন্তান প্রসব করেছেন পাঁচবার।

বর্তমানে এই নারী তার সকল সন্তানদের নিয়ে উগান্ডার পূর্ব কাম্পালার মুকোনো জেলার কাসায়ো নামের একটি গ্রামে বাস করছেন। তিন বছর আগে তার স্বামী তাকে ছেড়ে যায়। বর্তমানে মরিয়মের বয়স ৩৯ বছর, তিনি জীবিত মোট ৩৮ সন্তানের মা।
জানা গেছে, প্রথম সন্তান জমজ হওয়ার পর মরিয়ম সেখানকার এক ডাক্তারের কাছে যান। এরপর ডাক্তার মরিয়মকে জানান, তার ডিম্বাশয়ের আকার বড়। মরিয়মকে জন্মবিরতিকরণ পিল খেতে নিষেধ করেন সেই চিকিৎসক। এরপর থেকেই একের পর এক সন্তান জন্ম দিতে থাকেন মরিয়ম নাবাতানজি।

মরিয়ম নাবাতানজি জানান, তিনি সবশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আড়াই বছর আগে। এই জমজের একটি শিশু মারা যায়। তার মা হওয়ার এই দীর্ঘ যাত্রায় সব মিলিয়ে ছয়টি সন্তান প্রাণ হারিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চোখের জল ফেলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। এই কঠিন সময়ে আমার পুরুষ আমাকে ছেড়ে গেছে।’

বিশাল পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব যেন নিজের হাতেই তুলে নিয়েছেন নাবাতানজি। চুল সজ্জা, মানুষের ঘরদোর মোছা, হার্বাল ঔষধ বিক্রি, কৃষিকাজ একাই করেন তিনি। দিনশেষে তার আয়ের পুরোটাই চলে যায় সন্তানদের খাবার, চিকিৎসা, কাপড় আর স্কুল ফি জোগাড় করতে। তিনি জানান, পুরো পরিবারের খাওয়া হিসেবে দৈনিক ২৫ কিলোগ্রাম ভুট্টার আটা লাগে। অভাবের কারণে মাছ আর মাংস কেনার ঘটনা খুবই কম।

তবে আফ্রিকার দেশগুলোতে শুধু মরিয়মই নয় অধিকাংশ পরিবারগুলোর আকার তুলনামূলক বড়। আর উগান্ডায় প্রতি নারীর সন্তান জন্মের হার ৫ দশমিক ৬ জন। অথচ সন্তান জন্মদানের বৈশ্বিক গড় ২ দশমিক ৪।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button