ঝিনাইদহের মেয়ের হত্যার দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের চোখঃ
যশোরের বাঘারপাড়ার উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের গৃহবধূর জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এতে তুলির পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীসহ ৪০/৫০জন অংশ নেন। নিহত তুলি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চাই। দুইজন আটক হলেও জামাই জুলফিকার এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার ফাঁসি চাই। মেয়ের দুটো ছোট্ট বাচ্চা রয়েছে। তাদেরকে এতিম করেছে যারা, তারা যেন শাস্তি পায়। মেয়ের বাচ্চা দুটি নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালে ৮ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের ছেলে জুলফিকারের সাথে তার মেয়ে তুলির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দু’টি সন্তান রয়েছে। ২০১২ সালে বিয়ের তথ্য গোপন করে জুলফিকার সরকারি একটি বাহিনীতে চাকরি নেয়। চাকরি পাওয়ার পর সে তুলিকে নিয়ে ঢাকার বালুঘাটে থাকতো।
এরই মধ্যে গোপনে জুলফিকার আরও একটি বিয়ে করে। এই বিয়ের আগে ও পরে যৌতুকের দাবিতে সে তুলির উপর নানা অত্যাচার-নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে তুলিকে তার দুই সন্তানসহ গ্রামের বাড়ি বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়ায় পাঠিয়ে দেয়।
সেখানে অত্যাচার নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল তুলিকে কুপিয়ে জখম করে দেবর শহিদুলসহ তার শাশুড়ি ফরিদা ও ননদ সুরাইয়া। উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শহিদুল আটক হলেও পুলিশ অন্যদের আটক করতে পারেনি। তুলি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জুলফিকার বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তুলি মা ছকিনা বেগম, বড় ভাই নূর মোহাম্মদ, ছোট ভাই নূর আলমসহ আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশরা।