জানা-অজানা

লেবু খান, কিন্তু লেবুর খোসার উপকারিতা জানেন?

ঝিনাইদহের চোখঃ

লেবুর খোসার উপকারিতা – অনেকেই সকালে উঠে জলে পাতিলেবু চিপে নিয়ে সেই জল খান ৷ এই অভ্যাস খুবই ভালো ৷ আবার ডালের সঙ্গে লেবু চিপে খাওয়া ব্যাপারটা কিন্তু ভোজন রসিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু এই লেবু তো খাচ্ছেন৷ তবে জানেন? লেবুর খোসারও গুণ অনেক ৷ পড়ুন…

লেবুর খোসায় থাকা সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে যাওয়ার পরপরই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে মন, মস্তিষ্ক ও শরীর একদম চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তো যখনই দেখবেন শরীর আর চলছে না, তখন অল্প করে লেবুর খোসা চটজলদি খেয়ে ফেলবেন।

দেখবেন উপকার পাবেন দ্রুত। ‘পেকটিন’ নামক একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

লেবুর খোসায় উপস্থিত ‘স্য়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০’ ও ‘লিমোনেন্স’ নামে দুইটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের ভেতরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়। লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় লেবুর খোসা খেলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

লেবুর খোসায় আছে ‘পলিফেনল’ নামে একটি উপাদান। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে তাদের ডায়েটে লেবুর খোসা মাস্ট। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের ডায়েটে স্যালাড ও সেদ্ধ সবজি থাকে। তাতে একটু লেবুর খোসা কুচি করে দিলে খাবারে লেবুর সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। খাবারের স্বাদও বাড়বে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button