ঝিনাইদহে এক মন ধানে ১জন শ্রমিক, দিশেহারা কৃষক

রাসেল আহাম্মেদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
চলছে বোরো মৌসুম। পেকে গেছে মাঠের বেশিরভাগ ধান। কয়েকদিন আগে ফণীর প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। সঙ্গে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া। এতে অনেক এলাকায় জমির ধান পড়ে গেছে। এই পড়ে যাওয়া ধান দ্রুত কাটার জন্য হিড়িক পড়ে গেছে।
ফলে একেকজন কামলার (দিনমজুর) মজুরি উঠেছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। এক মণ ধান বিক্রি করেও একজন কামলার মজুরি পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কারণ বাজারে বর্তমানে এক মণ ধানের দাম প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
যার প্রভাব পড়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় প্রায় সব যায়গায়। শ্রমিক সংকটে ভুখছেন কৃষকরা এবছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় কিছুটা বিপাকে পরতে হয়েছে ধান চাষিদের। খোজ নিয়ে জানা যায়, হলিধানি, সাগান্না, সাধুহাটি, মধুহাটি, গান্নায়, ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে এক জন শ্রমিক সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
অতিরিক্ত মুজুরি হওয়ায় স্কুল পরুয়া ছাত্ররাও ধান কাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে, এই বিষয়ে মাওলা নামে এক কৃষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবছর ধান চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে, শ্রমিক সংকটে অতিরিক্ত মুজুরি দিয়ে দিয়ে কাজ করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। অন্ন্য দিকে ধানের দাম ভালো না থাকায় দুশচিন্তায় কৃষকেরা, যার জন্য এবছর হাসি ছাড়ায় ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।