মানুষ গড়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার বার হাই তোলে
ঝিনাইদহের চোখঃ
হাই তোলার ব্যাপারে দুটি তত্ত্ব আছে। প্রথমটি দেহের একরকম এয়ার কন্ডিশনিং। দ্বিতীয় তত্ত্ব হলো, এটা আমারে যৌথ আচরণের বহিপ্রকাশ। বিবিসি
প্রথম তত্ত্বে যখন আমরা ক্লান্ত বা বিরক্ত, মস্তিস্কের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সভা বা বৈঠকের সময়। তখন আমরা বাতাস থেকে হা করে ঠান্ডা হাওয়া টেনে নেই। যা মস্তিষ্ককে ঠান্ডা এবং চাঙ্গা করার সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এটা আমাদের আরো জাগ্রত করেও তোলে।
দ্বিতীয় তত্ত্ব, হাই তোলা একটা ছোঁয়াচে ব্যাপার। একজন তুললে সবাই তোলে। গবেষকরা মনে করেন, এটা একধরণের যোগাযোগ। যার উদ্দেশ্য হলো একটা সামাজিক গোষ্ঠীর দেহঘড়িগুলোকে একসঙ্গে মিলিয়ে নেয়া। যখন সবাই একেরপর এক হাই তুলতে থাকে, তখন সবাই সচেতনতার একই স্তরে পৌঁছায়।
কিছু কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, পারস্পরিক হাই তোলা একধরনের সহমর্মিতা প্রকাশ। কুকুর যখন দেখে তার প্রভু হাই তুলছে, তখন সেও হাই তোলে।