নার্সকে যৌন হয়রানি : কী আছে তদন্ত প্রতিবেদনে?
ঝিনাইদহের চোখঃ
রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক আমিরুল হাসানের বিরুদ্ধে এক সিনিয়র নার্স কর্তৃক আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে এ অভিযোগের তদন্ত করা হয়।
ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করে অভিযোগকারী নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অভিযুক্ত পরিচালক নির্দিষ্ট দিনে জবানবন্দি দিতে হাজির না হলেও পরবর্তীতে তিনি তদন্ত কমিটির কাছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাখা প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেছেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, পরিচালক দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধিবিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে তা এখনই গণমাধ্যমে বলা উচিত হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অভিযুক্ত পরিচালককে প্রাথমিকভাবে ওএসডি করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দোষী প্রমাণিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবে না। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
উল্লেখ্য, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক সিনিয়র নার্স যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল পরিচালককে ওএসডি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে অভিযুক্ত আমিরুল হাসান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কাজে ওই নার্সকে ব্যবহার করছেন। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তাকে পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে সেখানে নিয়োগ দিতে চাইছে। তিনি ওই নার্সকে কখনও এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে ষড়যন্ত্র, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মেয়েটি কেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তার কারণ আমি জানি, আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ করার জন্য একটি গ্রুপ তাকে ২০ লাখ টাকা ও একটি গাড়ি দিয়েছে। সে এখন ওই গাড়িতেই ঘুরে বেড়ায়। ওই গ্রুপটি হাসপাতাল ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে ব্যবহার করছে।’