মাঠে-ময়দানে

স্ত্রীকে না জানিয়েই বাংলাদেশে কোচের চাকরি নিয়েছেন জেমি ডে!

ঝিনাইদহের চোখঃ

বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে থাকছেন? নাকি ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র ছুটিতে যাওয়াই হয়ে যাচ্ছে বিদায়? প্রশ্নটা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল অঙ্গনে। কারণ, ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে দেশে যাওয়া জেমি ডে ফিরে আসেননি তিন সপ্তাহেও। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে তার এক বছরের চুক্তিও শেষ হচ্ছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।

সময়মতো না ফেরা এবং সেই সঙ্গে বেতন বৃদ্ধিসহ বাফুফেকে জেমির দেয়া আরও কিছু কঠিন শর্ত মিলে এ ইংরেজের ফিরে আসটাই অনিশ্চিত মনে হচ্ছে অনেকের কাছে। এরই মধ্যে নিজ দেশের গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতে জেমি ডে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশে তার চাকরি নিয়ে কিছু মজার ঘটনা। প্রথম কোনো জাতীয় দলের ডাগআউটে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন সে কথাটি তিনি জানানইনি তার স্ত্রীকেও।

কেন্ট অনলাইনে জেমি ডে বলেছেন, ‘এক বছর আগে আমার এক অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু এজেন্ট আমাকে এসএমএস করে জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জাতীয় দলের কোচ খুঁজছে। তুমি আগ্রহী কি না? আমি এক বাক্যে বলে দিয়েছি ‘হ্যাঁ’। কোনো সমস্যা নেই। এটা করতে পারলে আমি খুশিই হবো; কিন্তু এ কথাগুলো পরিবারের কাউকে বলিনি। তারপর আমার বন্ধু জানতে চেয়েছিল আমি লন্ডন যেতে পারবো কি না। সেখানে বাফুফের শীর্ষ এক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। লন্ডনে বাফুফে কর্মকর্তার সঙ্গে এক ঘণ্টা আলাপ হলো এবং আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চাকরি প্রস্তাব দিলেন।’

জেমি ডে বলেন, ‘এমন একটি চমৎকার কাজে যোগ দেবো, অথচ খবরটি আমি জানাইনি আমার স্ত্রীকে। যদিও আমি কোনো দেশের জাতীয় দলে কাজ করার জন্যই আগ্রহী ছিলাম। অপেশাদার এবং ছোট লিগের দল থেকে জাতীয় দল পরিচালনার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত হলাম এবং ঝুঁকিও নিলাম বাংলাদেশে গিয়ে দায়িত্ব নিতে।’

পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা খুব কষ্টকর। আমার চার সন্তান। আমি বাংলাদেশে এক বছর ধরে থাকছি সন্তানদের না দেখেই। এটা আমার জন্য বেশ কঠিন। আমার স্ত্রী-সন্তানের জন্য আরও কঠিন। সন্তানদের ভালোভাবেই দেখাশুনা করে আমার স্ত্রী। এ দায়িত্বটি সে সুন্দরভাবেই করছে। এ জন্য তাকে ত্যাগও স্বীকার করতে হচ্ছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button