শয়তানকে হারিয়ে দিন
ঝিনাইদহের চোখঃ
ফর্মূলা টা প্রয়োগ করে আমরা আমাদের অনেক বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে পারব,,গোনাহ থেকে বাচতে পারব,,
ইনশাআল্লাহ….. ….. একজন শায়খ এই নামে একটি বই লিখেছিলেন। তিনি যেকোন সমস্যার সমাধান হিসেবে দুই রাকাত নামাজ পড়ার উপদেশ দিতেন। . একজন লোকের সমস্যা ছিল সে মহিলাদের দিকে বেশি তাকাত।
সে শায়খকে বললো, “শায়খ আমার নজর বারবার মহিলাদের দিকে চলে যায়। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। আমাকে নসীহত করুন শায়খ” শায়খ বললেন, “প্রতিবার যখনই তুমি বেগানা মহিলার দিকে তাকাবে সেটা হিসাব করে রাখবে। তারপর রাতে এসে প্রতিবার ইচ্ছাকৃত তাকানোর জন্য দুই রাকাত করে নামাজ পড়বে” উনি বললেন, “শায়খ, আমি একজন রিসেপশনিস্ট। প্রতিদিন প্রচুর মহিলার সাথে সাক্ষাত হয়। এটা কীভাবে করব!” শায়খ বললেন, “তুমি শুরু কর” . তো সেই ভাই শুরু করলেন। প্রথম দিন ১০ রাকাত নামাজ পড়তে হল। তারপর দিন ৮ রাকাত। তারপর দিন ৬ রাকাত। এভাবে কিছুদিনের মধ্যে অবস্থা এমন হল কোন মহিলা আসছে এটা যখন তিনি বুঝতে পারেন তখন শয়তান কানে কানে বলে, “প্লিজ তাকিওনা! তাকালে আবার নামাজ পড়তে হবে!” . . অন্য এক ভাই শায়খকে বললেন, “শায়খ আমি সিগারেট ছাড়তে পারছি না,কী করব?” শায়খ বললেন, “যখনই তুমি একটা সিগারেট খাবে শেষ করে সাথে সাথে নতুন ভাবে ওযু করে দুই রাকাত নামাজ পড়বে” “শায়খ আমি দৈনিক দুই প্যাকেট সিগারেট খাই! এটা কীভাবে সম্ভব?!” শায়খ বললেন, “তুমি শুরু কর” . উনি বলেন এরপর আমি শুরু করলাম। প্রথম দিন আমার ১০ রাকাত নামাজ পড়তে হল। মানে সেদিন তিনি ৫টি সিগারেট খেয়েছেন। ভেবে দেখুন, দুই প্যাকেট থেকে প্রথম দিনেই ৫টিতে! এরপর ৮ রাকাত,৬ রাকাত। এভাবে কিছুদিন পর যখনই তিনি সিগারেট ধরাতে যান ইবলিস কানে কানে বলে, “প্লিজ সিগারেট জ্বালিও না। আবার ওযু করতে হবে। তারপর নামাজ পড়তে হবে! তারচেয়ে না খাওয়াই ভাল!” . . শায়খের দুই রাকাত ফর্মূলার বইটি পড়ে এক যুবক তাকে ফোন দিয়ে বলে, “শায়খ, আমি প্রায় সময় ফজরের নামাজ মিস করতাম। চেষ্টা করেও পড়তে পারতাম না। এরপর একদিন আমি নিজের উপর খুব বিরক্ত হয়ে পড়ি। রেগেমেগে আমি বলি, ‘কালকে যদি আমি ফজর পড়তে না পারি তবে ১০০ রাকাত নামাজ পড়ব’ পরের দিন যখন ফজরের সময় হল তখন কোন এলার্ম ছাড়া, কারো কোন ডাক ছাড়া আমি উঠে গেলাম। ইবলিস আমাকে ডেকে দিয়েছিল!বলছিলো, “উঠো! উঠো! ফজরের সময় হয়ে গেছে!” এরপর আমি এক বছর টানা ফজরের নামাজ মিস করিনি। বরং আমি আজান হওয়ার আগেই মসজিদে চলে যেতাম। অবস্থা দেখে মুয়াজ্জিন মসজিদের চাবি আমাকে দিয়ে দেয়। এখন আমিই ফজরে মসজিদ খুলি!” .
সুবাহানআল্লাহ্! শয়তান চায়না আমরা আমল করি। কারণ তওবার দ্বারা একেতো গুনাহ্ মাফ হয় তারওপর নফল পড়ার কারণে আমরা আরো আল্লাহর কাছে চলে যাই। তাই গুনাহ করতে না দেয়াটা বরং তার জন্য সহজ! .
এটার ফলাফল নির্ভর করবে আপনি কতটুকু সিনসিয়ার এর উপর। আপনার যেকোন সমস্যার সমাধান হতে পারে এই ফর্মূলা। হয়ত আপনি গান শোনা ছাড়তে পারছেন না, মুভি দেখা ছাড়তে পারছেন না, রেগে যাওয়া ছাড়তে পারছেন না। দুই রাকাত ফর্মূলা এপ্লাই করা শুরু করুন। ইন শা আল্লাহ্, ফলাফল আপনাকে চমকে দিবে!