ঝিনাইদহ সদর

ঝিনাইদহের নয়নের চাহনিতে কেবলই বাঁচার আকুতি

কামরুজ্জামান লিটন , ঝিনাইদহের চোখঃ

থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত সাত বছরের নয়নের মা তাকে ফেলে চলে গেছে। পিতা পিকুল হোসেন নতুন বিয়ে করে সংসার করছেন। শিশু নয়ন এখন দাদি রেবেকা খাতুনের কাছে অনেকটা বোঝা হিসেবে চেপেছে।

ব্যায়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করানোর মতো কোন অর্থ নেই রেবেকা ও তার স্বামীর। প্রতি ১৫ দিন পর পর নয়নের শরীরে রক্ত দিতে হয়। তাও দিতে পারে না। নয়নের পেটটা অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে গেছে। নিঃশ্বাস নিতে তার কষ্ট হয়। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে নয়ন। সেই চাহনিতে কেবলই যেন বাঁচার আকুতি। শিশু নয়নকে সঙ্গে নিয়ে দাদি রেবেকা খাতুন সোমবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি ইসলামের দপ্তরে এসেছিলেন। যদি কিছু সাহায্য মেলে তবে নয়নের শরীরে রক্ত দিবেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন ঢাকার শিশু হাসপাতালে নিয়ে নয়নকে অপারেশন করাতে। অপারেশন করালেই নাকি সে ভাল হবে। কিন্তু কোন সামর্থ নেই পরিবারটির। নয়নের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কালুহাটি গ্রামে।

দাদি রেবেকা খাতুন জানান, তারা কোন আর্থিক সহায়তা চান না। কেও নয়নের একটা অপারেশনের ব্যাবস্থা করলেই তারা যেমন বাঁচতে পারেন, তেমনি বাঁচতে পারে অসহায় নয়ন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নয়ন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। তার শরীরে এটা অপারেশন দরকার। এটা ঢাকার শিশু হাসপাতালে হবে। নয়নের পরিবারের সাথে যোগাযোগ পিতা পিকুল হোসেন ০১৭৪২৮৩৭৯২৯ ও দাদি রেবেকা খাতুন ০১৭৩৫-৭৮৮০৬৩।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button