ঝিনাইদহের ১৩ বছরের হৃদয় এখন পুরোদমে রিকশা চালক!

খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদরের মধুপুর গ্রামের পিতৃস্নেহহীন হৃদয়ের বসাবস।
৯ বছরে বয়সে যখন সাথীদের সাথে খেলা আর হৈহুল্লোল করার সময় তখন সে বাদাম বিক্রেতা। জীবনসংকট ও জীবনসংগ্রামে হৃদয়ে হাতেখড়ি বাদাম বিক্রয় হলে ও পরিবারের ব্যয়ভার চালানোর জন্য হৃদয় এখন মস্তোবড় রিকশাচালক ১৩ বছরে।
বাদাম বিক্রয় করে বাজার দ্রব্যমূল্য হিমসিম হওয়ার কারনে পরিবারের চাহিদা মেটাতে সে এখন রিকশাওয়ালা হতে বাধ্য হয়েছে। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও বড় বোন কে উচ্চশিক্ষিত করাতে সে নিজের বড় হওয়ার স্বপ্ন একবুক চাপাকান্না হুদয়ে গহীনে লুকিয়ে হাসিমাখা দু’নয়নে রিকশাযোগে শহরে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছে আকাশ ছোয়া স্বপ্ন নিয়ে শিশু হৃদয়।
ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, রাস্তার মোড়ে, কেসি কলেজ চত্ত্বরসহ শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিগত ৪ বছর পূর্বে বাদাম বিক্রয় করতো শিশু হৃদয় । তখন হৃদয়ের বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। হঠাৎ আজ দেখি সেই হৃদয়ের উপার্জনের মাধ্যম রিকশা। হৃদয়ের বর্তমান বয়স ১৩ বছর,। পিতা- থাকতেও পিতৃস্নেহহীন সে।
এলাকাবাসী জানায়, নিজ পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বোনের লেখাপড়ার ভার সামলানোর তাগিদে সে আজ পেশাজীবি রিকশা চালক।
সমাজপতি ও প্রশাসনের হৃদয়বান মহৎ মনের মহোদয়দের একটু সুনজরের হস্তক্ষেপে নিষ্পাপ শিশু হৃদয় ‘রা এই সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে যেতে পারে। সমাজের উচ্চবিত্তরা হৃদয়ের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে, তাকে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার সুযোগ দেবে এই আমাদের প্রত্যাশা।