ঝিনাইদহে বাড়ছে ছিঁচকে চুরি

ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে দিন দিন চোরের উপদ্র বেড়েই চলেছে ২ মাসের ব্যবধানে কয়েকটি দোকান ও একটি এজেন্ট ব্যাংকে চুরি হলেও একটাও চোর সংঘবদ্ধ দল ধরা পড়েনি। রেশ কাটতে না কাটতেই ৪,৫,২০১৯ রাত্রে ডাকবাংলা বাজারে দিব্য বিকাশ ঘর থেকে টিন কেটে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। অন্যদিকে গত মাসের ২৭ তাং এ পোতাহাটি গ্রামের প্রতিবন্ধী সহেলের ৯০ হাজার টাকা মুল্যের গরু চুরি হয়েছে।
গত রবিবার রাত ১টার দিকে ডাকবাংলা মুকুল গোল্ডের দোকানের টিন কেটে চুরি করে ৭টি মোবাইল, ৮৫পিস মেমোরীসহ নগদ ৯০ হাজার টাকা। সম্প্রতি লাগানো ৩টি সিসি ক্যামেরা, চোরেরা ঘরে ঢুকেই দুটি ক্যামেরা নষ্ট করে ফেলে, তাদের অজান্তে থেকে যায় ১টি সিসি ক্যামেরা, দেখা মেলে চোরকে। রিলাক্সের সাথে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা চুরির অভিযানের প্রায় সবটুকুই দেখা মেলে চোরকে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে পরিচয় মেলে চোরের। নাম শাকিল, হরিনাকুন্ডু উপজেলার গোবরাপাড়া গ্রামের রফির ছেলে। মেম্বর আব্দুর রহিমের হেফাজতে রেখে চুরি হওয়া মোবাইল, টাকা, মেমোরী কার্ডসহ চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করে গভির রাত পর্যন্ত ডাকবাংলা ক্যাম্পে বসে দোকান মালিক সমিতির মিটিং দফায় দফায় চুরি যাওয়া মালা মাল উদ্ধারের চেষ্টা,তবে মালামাল ও টাকা দিতে শিকার হয় চোরের অভিভাবকরা।
ডাকবাংলা ক্যাম্প ইনচার্জ জানান, গোবরাপাড়া শাকিল ও মাগুরা পাড়া গ্রামের মোফাজ্জেলের ছেলে ইয়াছিন মোদাচ্ছেরকে চালান করা হয়েচে থানায় । এদিকে ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির একাধিক সদস্য জানান দুইটি দোকানের চুরির টাকা ফেরত দিতে চাই চোর কিন্তু বাকি দোকানের টাকা ফেরত দেবে না ?
এলাকা বাসির ধারনা প্রতিটা চুরি এই সিন্ডিকেট করেছে, আমরা প্রতিটা চুরির বিচার চাই। এবং সঙ্গবদ্ধ দলের সাথে আর কারা আছে এটাও বের হওয়া উচিত।