ঝিনাইদহ পুলিশের ম্যাজিক, ৪৮ ঘন্টায় কেসের দফারফা
সাদ্দাম হোসেন, ঝিনাইদহের চোখঃ
অপহরনের ৩ দিন পর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের শিশু রিয়াদকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরনকারী মুন্নাকেও আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার কেরানীগঞ্জের মহুরী পট্রির জনৈক সাগর হোসেনের ভাড়া বাসা থেকে রিয়াদকে উদ্ধারসহ অপহরনকারী মুন্নাকে আটক করে। অপহরনকারী স্বপন ওরফে মুন্না শিশু রিয়াদের দুঃসম্পর্কের আত্বীয়। তাদের ঊভয়রই বাড়ি উপজেলার বগেরগাছি গ্রামে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ২৫ মে উপজেলার বগেরগাছি বাজারে নাস্তা কিনতে এসে রিয়াদ আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর অনেক খোজাখুঁজির করেও না পেয়ে তার বাবা ফারুক হোসেন পরের দিন রবিবার কালীগঞ্জ থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে দুঃসম্পর্কের আত্বীয় স্বপন ওরফে মুন্নাকে প্রাথমিক ভাবে সন্দেভাজন অপহরনকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, আপহরনকারী মুন্না রিয়াদকে অপহরনের পর থেকে তার পরিবারের কাছে মুঠোফোনে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে আসছিল। এরপর মোবাইল ফোন ট্রেকিং করে নিশ্চিত হয়ে অপহৃতের বাবা ফারুক হোসেনকে সাথে নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাড়ি নং-২,রোড নং-বি ২, মুহুরী পট্টী জনৈক সাগর হোসেনের ভাড়া বাড়ি থেকে সোমবার দুপুরে রিয়াদকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরনকারী স্বপন ওরফে মুন্নাকে আটক করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, এস.আই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম রবিবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাড়ি থেকে শিশু রিয়াদকে উদ্ধার ও অপহরনকারী স্বপন ওরফে মুন্নাকে আটক করে সোমবার দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ থানাতে আনা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে রিয়াদের বাবা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে অপহরনকারী মুন্নাসহ ৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছেন। মামলা বাকী ২ আসামী মুন্নার বাবা শুকুর মোল্লা ও মুন্নার স্ত্রী সুইটি আক্তার আনোয়ারা পালাতক রয়েছে। তিনি বলেন,তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।