তুমি আজো অচেনা—গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখঃ
আজো তোমাকে অচেনা মনে হয়।
তোমার প্রথম পর্ব ছিলো
আমার দিকে তাকিয়ে থাকা হেলফেলিয়ে
তুমি অনেকটা শরমে শরমে তাকাতে
আমি তোমার দিকে তাকালে
তুমি আমার তাকানোর আভাসেই
মুখ ঘুরিয়ে নিতে।
তোমার সাথে আমার কী যেনো মায়াটান ছিলো
ঠিক বলতে পারবো না
একটু কাছেটানে একটু দূরে ঠেলে
এভাবেই চলতে থাকে অনেকদিন
কিন্তু তোমাকে দেখলে আমার মন
কেমন যেনো আনচান করে
মনে হয় তুমি এক অপূর্ব অচেনা পৃথিবী।
দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় মুখোমুখি দেখাদেখি
আর মুচকি হাসি দিয়ে।
ক’দিন যেতেই হাত ছুঁই ছুঁই করে মন
হয় একটু আধটু কথপোকথন।
একদিন হঠাৎ ফুল হাতে দাঁড়িয়ে
কাছে গেলাম,বললে তোমার জন্য
সেই ফুল আমার হাতে দিলে তুলে
তখনই তুমি প্রথম স্পর্শ করলে আমাকে
আমার শিরা-উপ-শীরায় রক্ত চলাচল
একদম যেনো বন্ধ হয়ে গেলো
আহ!এমন পরশ আগে কখনো পাইনি
তোমার পরশের মূলমন্ত্র কী তাও আমি জানিনা
তুমি হয়ে উঠলে আমার ভালোলাগার পরশ মণি।
তোমাকে প্রতিদিন দেখতে মন চায়
তোমার ছোঁয়া আমার শরীর সারাক্ষণ নিতে চায়
কিন্তু তুমি কে তোমাকে তো চিনিনা
তবুও তুমি কেনো ভাবনায় মিশে থাকো?
তুমিই যেনো আমার সকল ভাবনা।
তৃতীয় পর্ব অবাঁধ মিলনানন্দে।
আমরা এখন এক ঘরে থাকি বড্ড কাছাকাছি
দেখভাল করি দুজন দুজনের
মনে হয় এই মধুর জীবনের জন্যই বুঝি
তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে
কথা বলতে স্পর্শ করতে
আঁধো আঁধো করে আমাকে ছুঁতে,
এমনি করে দিনরাত কাটে বেশ সুখের মোহনায়।
তারপর ক’বছর না যেতেই
আমাকে যেনো তোমার আর ভালো লাগেনা
কেমন যেনো দূরে দূরে ঠেলো
কথা বলতে চাও না স্পর্শ করতে চাও না
আমি তোমার কাছে এগিয়ে গেলেও না।
তোমার জন্য পৃথিবীর সকল আপনজন
বেড়ে ওঠা ঘর ফেলে এলাম
তুমি আমার খুব কাছের চেনা মানুষ বলে
কিন্তু আজ তোমার সাথে এই পর্যন্ত এসে
আমি বুঝতে পারলাম তোমাকে আমি চিনিনি
তুমি আজো অচেনা।