বিশ্বনবিকে নামাজে যে দোয়া করতে বলেছেন আল্লাহ
ঝিনাইদহের চোখঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভালো কাজ করতে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। আবার চরম ফেতনার সময় যেন আল্লাহ তাআলা তাকে ফেতনামুক্ত অবস্থায় তার কাছে ওঠিয়ে নেন।
আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাজ পড়ার পর তার কাছে এ দোয়া করতে বলেছেন। হাদিসে এসেছে-
‘কাফফারাত হলো- নামাজের পর মসজিদে অবস্থান করা, পায়ে হেঁটে জামাআতে হাজির হওয়া, কষ্টের সময়ও পরিপূর্ণভাবে পূর্ণাঙ্গ অজু করা। যে ব্যক্তি এটা করবে সে কল্যাণের সাথে বাঁচবে এবং কল্যাণের সাথে মৃত্যুবরণ করবে। আর সে তার গোনাহ থেকে সে দিনের মতো পাক পবিত্র হয়ে যাবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা বললেন, হে মুহাম্মদ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই নামাজ পড়বেন, তখনই এ দোয়া পড়বেন-
اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَ تَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَ حُبَّ الْمَسَاكِيْنِ فَاِذَا اَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِىْ اِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফে’লাল খায়রাতি ওয়া তার্কাল মুংকারাতি ওয়া হুব্বাল মাসাকিনি ফা-ইজা আরাদতা বি-ইবাদিকা ফিতনাতা ফা-আক্ববিদনি ইলাইকা গাইরা মাফতুনিন।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি ভালো কাজ করতে, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং দারিদ্রদের ভালোবাসার। সুতরাংহে আল্লাহ! যখন তুমি তোমার বান্দাদেরকে ফেতনা-ফাসাদ ও বির্যয়ে ফেলতে চাইবে, তখন আমাকে ফেতনামুক্ত রেখে তোমার কাছে ওঠিয়ে নেবে।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়াটি নামাজের সময় আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।