আমার প্রাণের মানুষ সালেহা বেগম—তাহেরা বেগম জলি

ঝিনাইদহের চোখঃ
১৯৭৪ সাল। আমার নামে তখন হুলিয়া। হুলিয়া মাথায় নিয়েই একদিন যশোরে সালেহা আপার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। গোপনে সেদিন দুজনেই যশোর কাজিপাড়ায় তাঁর বাসাতেই ছিলাম। যশোর শংকর পুরে পরদিন সালেহা আপার মিটিং ছিলো।
মিটিংয়ে রওয়ানা দেওয়ার আগে তিনি আমাকে বললেন,তুইও যাবি আমার সঙ্গে। তবে শাড়ী পর্। শাড়ী পরে তৈরি হওয়ার পর তিনি আমার দিকে একটা রিভলভার এগিয়ে দিয়ে বললেন,এটা তোর কোমোরে সামনের দিকে শাড়ীর নিচে গুজে নে। বলে নিজে একটা পিস্তল একইভাবে কোমোরের সামনের দিকে গুজে নিয়ে নিলেন।
এইভাবে আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। হেটে যাচ্ছি। যেতে হবে শংকর পুরে। কোন কারণে সেদিন আমাদের যেতে হয়েছিলো যশোর এস পি অফিসের সামনে দিয়ে। তখন মাথায়ই আসেনি কোন বিপদ আমাদের হতে পারে। যদিও তার পর পানি গড়িয়েছে অনেকদুর।
আমরা দু’জনই দীর্ঘ সময় ধরে টেনে এসেছি জেলের ঘানি। আজ সে সব কাহিনী অবিস্বাস্য মনে হয়। কিন্তু অবিস্বাস্য মনে হয়না সালেহা আপার সেই অকৃত্রিম ভালোবাসা। ভালো থাকবেন আমার প্রাণের মানুষ সালেহা বেগম।