সুলতান আল একরাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
মহাসড়কে পরিবহন থেকে জোরপূর্বক অবৈধ চাঁদা উত্তোলন সময়ে সেনাবাহিনী হাতে ফরিদ উদ্দিন, শরিফুল ও কবির হোসেন নামে ৩ চাঁদাবাজ ধরাশাহী হয়েছেন। সেনা সদস্যরা তাদেরকে ধরে বেধড়ক মারপিট করেছেন। পরে চাঁদাবাজরা আর চাদাবাজী করবেনা এমন মুচলেকা মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের টিএন্ডটি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় দুপুর ১২ টার দিকে শহরের মেইনবাসষ্টান্ড থেকে ২ শত গজ দুরে টিএন্ডটি অফিসের সামনে ৪/৫ জনের একদল চাঁদাবাজ মহাসড়কে বাস, ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চাদা তুলছিল। এমনি সময়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ী এসে ওই যানজটে পড়ে। এ সময় সেনা সদস্যরা গাড়ী থেকে নেমে এসে দেখে ৪/৫ জন লাঠি হাতে যুবক বাস ট্রাক থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। তারা চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তাদেরই ৩ জনকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। পরে পায়ে ধরে চাজাবাজি আর করবে না মাফ চেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পায় চাঁদাবাজরা।
তারা হলেন শহরের আড়পাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন ও কবির হোসেন এবং ফয়লা গ্রামের শরিফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন একটি মহলের নির্দ্দেশে বছরের পর বছর ওই চাদাবাজরা কালীগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাদা উত্তোলন করত।
গত ঈদের আগে থেকে প্রশাসনের নির্দ্দেশে মহাসড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষনা করায় কিছু দিনের জন্য চাদা তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রশাসনের ওই নির্দ্দেশ অমান্য করে এ সপ্তাহ থেকেই আবারো চাদা তোলা শুরু করে ওই চাদাবাজরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার সেনাসদস্যদের হাতে মার খেয়ে পালিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, ওই সময় আমি মিটিংয়ে ছিলাম। রাস্তায় চাদাতোলা সংক্রান্ত কোন মারপিটের ঘটনা তিনি জানেন না বলে জানান এই কর্মকর্তা।