#ঝিনাইদহের চোখঃ
আগামী ৫ বছরে ইলিশের মোট উৎপাদন বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। দিনের কার্যসূচির শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু জানান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে সরকারের নানামুখী সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইলিশ উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
তিনি জানান, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন; সেখানে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এতে জাটকা আজ নিম্ন মেঘনা থেকে পদ্মা, যমুনা, বহ্মপুত্র, সুরমায় বিস্তৃতি লাভ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জাটকার প্রাচুর্য ২০০৭-২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে প্রায় ৩৯% বেড়েছে। ২০১৭-২০১৮ সালে ২২ দিন ‘মা’ ইলিশ রক্ষায় ৪৭.৭৪% ‘মা’ ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০২-২০০৩ সালে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩২ মেট্রিক টন। ২০০২-২০০৩ সালের তুলনায় ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ সালে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়নের ফলে ইলিশের উৎপাদনে বেড়ে যথাক্রমে ৩ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন (৫৯.৫৫%); ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন (৭৫%); ৩ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন (৭৫.৪৮%); ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন (৭৯.৫৫); ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন (১২৫.০৪%) এবং ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
অর্থাৎ বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারের নানা উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চলমান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরে ইলিশের মোট উৎপাদন বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
