ঝিনাইদহের মাঠে পড়ে থাকা হতভাগিনী অজ্ঞাত নারীর গল্প
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
সে দিন ছিল ১৮ ই অক্টোবর ২০১৮ সাল সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে যেয়ে দেখতে পায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের নৃসিংহপুর গ্রামের গণ্ডবিলা পাড়া মাঠের মধ্যে রুহুলের ধানের ক্ষেতর পাকা ড্রেনর পাশে (২৮) অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ মোটা পলিথিন এ জড়ান অবস্থায় পড়ে আছে। চারি দিকে খবর জানা জানি হয়ে যায়। তখন পুলিশ যেয়ে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। খবর পেয়ে শত শত মানুষ তার লাশ দেখতে ভিড় জমায়। তবে কেউ তার পরিচয় বলতে পারেনি। মেয়েটির হাতে লাগান ক্যানলা দেখে ধারনা করা হয়েছিল যে মেয়েটি কোন হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে থেকে কোন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে গেছে। পরে লাশ টি কেউ আর নিতে আসেনি। তখন অজ্ঞাত লাশ হিসাবে ঝিনাইদহ আঞ্জুমান মফিজুলে দাফন করে। ঐ সময়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ইনচার্জ এমদাদ হক খান বলেছিল আজ সকালে একটি অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া গেছে ময়না তদন্তের পর তাকে কি ভাবে হত্যা করা হয়েছে জানা যাবে। পরে তাকে কয়েক বার জানতে চাইলে সে জানায় আজও জানতে পারা যায়নি অজ্ঞাত লাশ টির পরিচয়। ইতিমধ্যে ৯ মাস পেরিয়ে গেছে ঝিনাইদহ বাসী ভুলতে বসেছে।
ইতিমধ্যে গত ১৮ ই জুন ঝিনাইদহের সদর মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নলডাঙ্গা ইউনিয়নে সকালে বানিয়াবহু বাগুটিয়া গ্রামের ভোতন ব্রিজের কাছে মাঠের পাট ক্ষেতে এক অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে তার লাশ মর্গে পাঠালে তার মা এসে লাশ দেখে সনাক্ত করে। তখন জানা যায় যে ব্যক্তি খুন হয়েছে তার নাম সোহেল রানা গ্রামের বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোযারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মোয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করছিল।
খুনের ধরণ দেখে পুলিশ প্রথমেই ধারনা করেছিল যে এই খুনের পিছনে নারী ঘটিত কোন ব্যাপার থাকতে পারে। পরিচয় পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ছেলেটি যেখানে থাকত সেখানে যায় যেয়ে তদন্ত করে জানতে পারে যে সোহেল রানার জুলিয়া নামের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। যাহা ঝিনাইদহের বর্তমান পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতি দ্রুত রহস্য টি বেরিয়ে আছে।
এরই সুত্র ধরে আলোচনা হয় ঝিনাইদহ সদর থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে কয়েক জন সাংবাদিকের সামনে তার নিকট জানতে চাওয়া হয় যে ৯ মাস আগে সেই অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় কি পাওয়া গেছে। তখন সে জানায় ঘটনা আমার এই থানায় যোগদান করার আগে। আপনারা পূর্ণ তথ্য দেন আমি বের করার চেষ্টা করব। বলেছিলাম পূর্ণ তথ্য দেব তাই সংবাদটি আবার ফেসবুকে প্রকাশ করলাম। সেই সাথে বর্তমান পুলিশ সুপার কে অনুরোধ করব যে আপনি অতি সম্প্রতি কালে শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ সদরেরে দুটি হত্যা মামলার রহস্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন, সেই ভাবে এই অজ্ঞাত নারীটি কে ছিল? কারা তাকে হত্যা করেছে ? কে তার মা বাবা, কি তার পরিচয় তুলে ধরবেন আসা রাখি।