#মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহের চোখঃ
সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ১৪১ নং বড়–রিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। মাঠের চারিদিকে বসতবাড়িগুলো একটু উচু। স্কুল মাঠ আশপাশ বাড়িঘর ও রাস্তা থেকে অনেক নিচু। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি সব গড়ে স্কুল মাঠে জমে হাটুপানিতে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন জমে থাকা পানিতে হাঁস ভেসে বেড়ায় এবং কেচো, সাঁপসহ পোকামাকড় সব স্কুল ভবনে ঢুকে পড়ে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও পাঠ গ্রহনে বিমুখ হয়ে সাময়িক ক্লাস বর্জন করেছে বলে জানা গেছে।
স্কুল মাঠে দ্রæত মাটি বা বালু ভরাট করা হলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
বড়ুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া খাতুন ও আলিফ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকায় স্কুলে যেতে মন চায় না। স্কুলের কেউ খেলাধুলা করতে পারেনা। স্কুল মাঠে হাটুপানি পানি জমে থাকায় ক্লাসরুমে পোকামাকড় ও কেচোর বসবাস।
অবিভাবক বাদশা মোল্লা, মনসুর আলী ও ওহিদুল ইসলাম বলেন, এই বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় পঁচা দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এজন্য সন্তানদের নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। এমনকি সন্তাানেরাও পাঠগ্রহণে অমনোযোগী হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয় মাঠটি অনেকটা নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে থাকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। এসব শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঠে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে।