ঝিনাইদহে দিনকে দিন বাড়ছে যৌন হয়রানী, শ্লীলতাহানী এবং ধর্ষণ
#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে ২০ জুন থেকে ২৮ জুন এই ক’ দিনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, বাক প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষক ও পল্লি চিকিসকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থকে যৌনহয়রানি, প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও পুলিশ সদস্যসের বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনকর্ম অভিযোগ উঠেছে।
ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানা হগছে, এসকল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং পুলিশ সসদস্যকে ক্লোজর্ড ও এক শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
তবে এসকল ঘটনার জন্য নৈতিক শিক্ষার অভাব, সামাজিক অবক্ষয়কেই দায়ি করছেন সচেতনমহল।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুন জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার শীবনগর গ্রামের নিমাই প্রামানিক একই গ্রামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণ করে। মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে।
পরদিন ২১ জুন একই উপজেলার বলাবাড়িয়া মাদ্রাসার পিছনের পেঁয়ারা বাগানের পাহারাদার পাশের বাগডাঙ্গার রাস্তা পাড়ার বাক প্রতিবন্ধিকে বলাবাড়িয়ার সাইদুর রহমান ওই যুবতিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
২২ জুন জেলার মহেশপুরের জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিশু শিক্ষার্থকে যৌনহয়রানি করা হয়। অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তি হল- কালহুদার পল্লি চিকিৎসক গফুর আলি ও একই গ্রামের ভাজা বিক্রেতা আব্দুল লতিফ। এই ঘটনায় মহেশপুর থানায় যৌন নিপিড়ন আইনে মামলা হয়েছে।
২৩ জুন কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মওলানা আবু তাহেরকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া সদর উপজেলার ২৬ জুন নগরবাথানের প্রাইভেট শিক্ষক সমিত ঘোষের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি অভিযোগে মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠাই।
২৮ জুন ডাকবাংলায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনচারের অভিযোগে ক্লোজর্ড করা হয়েছে।
সচেতনমহলের সাথে কথা বলে জানা গেছে,ধর্মীয় মুল্যবোধ, নৈতিক শিক্ষা এবং প্রযুক্তির সঠিব ব্যহার করতে পারলেই এমন বর্বরতা থেকে অনেকটাই কমে আসবে বলে তারা ধারনা করেন।