পাঠকের কথা

তোদেরকে বলছি–এম হাসান মুসা

#ঝিনাইদহের চোখঃ

তোরা কারা? কোন গোত্রের?
অহেতুক মানুষ? তোরা কি রক্ত মাংসের না?
তোদের ভেতরে কি মন্দির, মসজিদ কিংবা কোন উপাসনালয় নেই?
কোথায় হারিয়েছিস তোদের ভেতরের শুদ্ধ অনুভূতি?
কেনোরে তোরা আজ এমন নরপশু?
কেনোরে আজ তোদের চামড়া এতোটা টান টান?
কেনো তোরা গিরগিটির মত রঙ বদলালি?
তোরা তো মানুষ ছিলি; কবে এমন পশু হলি?

তোরা কারা? তোদের ভেতরে কি জন্মায়নি সভ্যতার পাঠগৃহ?
খাটের নীচে নাকি আলমারির তাকে?
কোথায় রেখেছিস তোদের খাঁটি বৃক্ষের রূপ?
তোদের নিঃশ্বাসে এমন সাপের বিষ
কেনোরে ছড়াস এই উম্মুক্ত জীবন জলের পরতে পরতে?
তোরা আর কতো বীরঙ্গনা চাস?
তোরা কি চাস এবার ওরাই উঠে আসুক
তোদের পাথরের মতো বুকে পাথর চাপা দিয়ে
জ্বালুক আলোর মিছিল;
যে চাদরে মুখ লুকিয়ে ভাবছিস তোরা
কামবৃত্তির ডারেরীতে লুফে নিবি মনোরম বিকলাঙ্গ উল্লাস
সেখানেই একদিন লেখা হবে তোদের পশুসুলভ নির্লজ্জ ইতিহাস।

যে দেশ এখনও স্বাধীন হয়নি কি হবে এমন
স্বাদহীন স্বাধীনতার পাতাকা উড়িয়ে
এখানে যদি এখনও পথ চলতে শরীর লুকিয়ে চলতেই হয়
তবে? কি দরকার এমন স্বাধীনতার?
দেশ ,নারী, মনুষ্যত্ববোধ, আর কতো হিংস্রতার কাছে
দিয়ে ফিরবে বিধ্বস্ত মুক্তিপন?
আর কতো? আর কতো পুড়বে সভ্যতার চিতা?

জলন্ত উনুনে যেদিন তোদের কঙ্কাল জ্বলে পুড়ে ছাই হবে
সেদিন তোদের লোলুপ চেহারা কানামাছি যৌবনের আয়নায়
কেবল মায়ের মুখ দেখতে পাবে ।
যেদিন বাদুড়ের মতো ঝুলে থাকবি ইলেকট্রিক তারে আর
ভেতরে হাপিত্যেশ জন্মাবে নিঝুম অন্ধকারে
সেদিন ঠিক জেনে যাবি তোরা কারা? কি তোদের পরিচয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button