মুখের ত্বকে যা ব্যবহার করবেন না
#ঝিনাইদহের চোখঃ
নারীরা বরাবরই ত্বক নিয়ে অত্যন্ত যত্নশীল। ত্বককে আকর্ষনীয় রাখতে তারা সর্বদা তৎপর থাকে। মুখের ত্বক যেন একটু আকর্ষনীয় দেখায় এ জন্য এটা-ওটা মেখে ত্বকের আরও ক্ষতি করে ফেলেন।
এর ফলে ত্বকে হয় বলিরেখা, ব্রণ। ফলে ত্বকে সব কিছু ব্যবহার করা ঠিক না। যে সকল জিনিস ব্যবহারে ত্বকে ক্ষতি হতে পারে তা জানা থাকলে সতর্ক থাকা যায়।
দেখে নেয়া যাক তেমন কিছু উপাদান যেগুলো মুখের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না :
১. বডি লোশন : বডি লোশন তৈরি করা হয় শরীরের জন্য, মুখের জন্য নয়। শরীরের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় পুরু হয়। আর বডি লোশনকেও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়।
২. ভ্যাসলিন : ভ্যাসলিন সারা বিশ্বেই ত্বক আর্দ্র করার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এটি শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধে উপকারী। বিভিন্ন কাটাছেঁড়া বা পোকামাকড়ের কামড়ে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রণ হলে কখনোই ভ্যাসলিন মুখে লাগাবেন না। কারণ, এটি ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. গরম পানি : গরম পানির গোসল বা বাষ্পে গোসল অনেকেরই পছন্দ হতে পারে। তবে গরম পানি মুখের ত্বকে লাগানো ঠিক নয়। এটি মুখের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে।
৪. টুথপেস্ট : অনেকেই ব্রণ শুকিয়ে ফেলার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। তবে এ কাজ কখনোই করতে যাবেন না। টুথপেস্ট মুখের ত্বকে অস্বস্তি বাড়ায় এবং জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন : কেমিক্যাল বার্ন, স্কার্স ইত্যাদি।
৫. বেকিং সোডা : অনেকেই ভাবেন, বেকিং সোডার ব্যবহার ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে ভালো। বেকিং সোডা প্রচন্ড খারিয়। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। তাই মুখে বেকিং সোডা ব্যবহার না করার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।
৬. হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড : এই শক্তিশালী উপাদানটি কেটে গেলে ও পুড়ে গেলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। তবে এটি ব্রণের চিকিৎসায় কখনোই ভালো উপাদান নয়। এটি প্রদাহ ও অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।