ত্বকের যত্নে ঘি এর ব্যবহার
#ঝিনাইদহের চোখঃ
দুধ থেকে তৈরি ঘি আমাদের অনেকেরই পছন্দের খাবার। খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বজায় সহ খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখতে ঘি এর ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই খাবারটি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অনন্য ভূমিকা পালন করে। ঘি ত্বকের বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এই উপাদান বেশ কার্যকর। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
জেনে নেই ত্বকের যত্নে ঘি এর ব্যবহার:-
ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার:-
ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে থাকি। এবার ঘি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার ত্বক আর্দ্র হয়ে যাবে। কোন কারনে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে খাদ্য তালিকায় ঘি রাখুন।
ত্বকে বলিরেখা ঠেকাতে:-
বয়সের কারণে আমাদের শরীর ও ত্বক বুড়িয়ে যায়। তবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন যদি ঘি রাখা যায় তাহলে তার প্রভাব পড়বে ত্বকে। সমবয়সীদের তুলনায় ত্বক দেখাবে অনেকটাই উজ্জ্বল।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:-
ঘি ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই ও কে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হাতে সামান্য ঘি নিয়ে পাঁচ মিনিট মুখে হালকা ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে।
ঠোঁট কোমল ও গোলাপি রাখতে:-
শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের জ্বালা এড়াতে ঘি ব্যবহার করতে হবে। ঠোঁট ভাল রাখার জন্য লিপজেল এর চেয়ে ঘি বেশি কার্যকর। কিছুদিন এর ব্যবহার এর ফলে ঠোঁট কোমল এবং উজ্জ্বল গোলাপি হয়ে উঠবে।
ঠোঁটের দাগ মিলিয়ে যায় :- ঠোঁটে কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি নিয়ে ঠোঁটের পরিচর্যা করতে হবে। এর ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে সব দাগ মিলিয়ে যাবে।
চোখের কালি দূর করতে:-
চোখের নিচে কালি দূর করতে ঘি কার্যকর উপাদান। এর জন্য এক ফোঁটা ঘি নিয়ে তা চোখের চার পাশে ভাল ভাবে ম্যাসেজ করে সারারাত রেখে সকালে উঠে তা পানি দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ত্বক ম্যাসাজ:-
ত্বক ম্যাসাজ এ ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। দু চামচ ঘি হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পুরো মুখে মেখে নিতে হবে। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে ত্বক অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রতিদিন স্কাল্পে ঘি ম্যাসাজ করলে মাথার রক্ত চলাচল বাড়বে।