কালীগঞ্জ

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইটের দালান পেল কালীগঞ্জের ৮৭ পরিবার

#ঝিনাইদহের চোখঃ

মাননীয় প্রধামন্ত্রীর জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮৭টি গৃহহীন পরিবার টিনের ঘরের পরিবর্তে পাকা দালান ঘর পেয়েছেন। মাত্র ১ লাখ টাকায় একটি ইটের পাকা ঘর, বারান্দা ও একটি পাকা টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। যে টাকায় অন্য অনেক উপজেলায় চারিপাশে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি করার গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হলেও ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জসহ অন্য উপজেলা গুলোতে পাকা দেওয়াল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজে সার্বিক তদারকি করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আলহেল মাসুম। ৮৭টি গৃহহীণ পরিবার কখনো স্বপ্নেও ভাবিনিতারা পাকা ঘরে ঘুমাবেন। গৃহহীন পরিবারগুলো পাকা ঘর পেয়ে দারুন খুশি।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ তৈরিকৃত পাকা ঘরগুলো পরিদর্শণে যান। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: জাকির হোসেন ও উপঝেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আলহেল মাসুম।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আলহেল মাসুম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮৭জন গৃহহীন পরিবারকে একটি করে পাকা ঘর ও একটি করে পাকা টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে ১৭টি, বারবাজার ইউনিয়নে ২৩টি, সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৯টি, কোলা ইউনিয়নে ২টি, নিয়ামতপুর ইউনিয়নে ১৯টি, সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নে ৬টি, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে ৪টি ও রাখারগাছি ইউনিয়নে ৭টি গৃহহীন পরিবারকে এ পাকা দালান করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন ,যে সকল পরিবারের ভিটেবাড়ি ৩ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু মাটি কিংবা বেড়ার ঘর তাদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। দালান ঘর পাওয়া বারবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মাসুরা বেগম জানান, তিনি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। মার মাত্র ২.৫০ শতক ভিটা বাড়ি আছে। আর কোন জমি নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে তার ঘর বানিয়ে দিয়েছেন তাই তিনি অনেক খুশি।

পিরোজপুর গ্রামের শারিরিক প্রতিবন্ধী অরবিন্দু কুমার দাস জানান, তার মাত্র ০.০৫ শতাংশ জমি আছে। জীবনে কোন দিন স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি তিনি পাকা দালান ঘরে ঘুমাবেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা জানান, উপজেলায় ৮৭টি গৃহহীন পরিবারকে পাকা দালান ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরের মেজে পাকা-উপরে টিন এবং একটি পাকা টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। একটি ঘর ও টয়লেট তৈরি করতে ১ লক্ষ টাকা করে ব্যয় করা হয়েছে। ঘর গুলে পেয়ে সত্যিই গৃহহীন পরিবারগুলো দারুন খুশি। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে খুব শিঘ্রই এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা আরো জানান, এই ঘরগুলো নির্মাণের সার্বিক তদারিকি তিনি নিজেই করেছেন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button