#শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাধীন হেলাই মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষকদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ দানে ব্যাহত হচ্ছে।
পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষ না থাকার কারনে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়ার অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে। হেলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়া রোধে উপজেলার সেরা হিসাবে স্থান করে নেই।
শিক্ষরা বলেন ,স্কুলে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় শ্রেণি কক্ষ গুলো পর্যাপ্ত নয় ও ছাত্রছাত্রীর শ্রেনি কক্ষের অভাব রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩য় শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন গাদাগাদি করে বসে পাঠ গ্রহণ করছে ছাত্রছাত্রীরা এবং বাহিরে থেকে শিক্ষক পাঠ দান করতে দেখা যায়।এসময়ে বিদ্যালয় এর শিক্ষক পলাশ আহম্মেদ বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে যেখানে ৬ টি শ্রেণি কক্ষ প্রয়োজন সেখানে আমরা কষ্টকর পরিবেশে ৫ টি কক্ষে পাঠদান করা হয়।
বিভিন্ন শ্রেণীর হাজিরা উপস্থিতি হিসাবে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৯১ জন। ১ম শ্রেণিতে ৪১ জন,২য় ৫৪ জন ৩য় ৫১ জন ৫ ম ৫৯ ও শিশু শ্রেণিতে ২৭ জন প্রতিদিন উপস্থিতি হয়ে শিক্ষা নিতে আসেন।স্কুলের ভবনের তথ্য অনুযায়ী পুরাতন ভবন ৩টি ও নতুন ভাবন ২ টি যা তুলনা মুলক ভাবে সীমিত।
হেলাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন বলেন আমরা অনেক দিন যাবৎ কষ্টভোগ করেও শিক্ষাদান অব্যাহত রাখছি যেহেতু খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ দানে কোন নিয়ম নেই।আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের বসার জন্য পর্যাপ্ত বেঞ্চ নাই শ্রেণি কক্ষে গরমে ফ্যান নাই পানি মটর ও ট্যাংকি নাই যেখানে অনেক স্কুলে এ সব সুবিধা দেওয়া হলেও আমাদের নাই।
ইতিমধ্য ঝিনাইদাহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনারুল আজিম আনার আশ্বাস দিয়েছে হেলাই গ্রামে জনসংস্য বেশি হওয়ার কারনে শিক্ষার্থী বেশি তাই আমি যতাযথ ভাবে আমি নতুন ভবনে উন্নতি করবো। এছাড়া জানা যায় যে সাংসদের একান্ত পিএস সকল তথ্য অনুযায়ী স্কুলের নতুন ভবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হেলই মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় টি পাঠ্যপুস্তক সিলেবাস এর বাহিরেও শারীরিক শিক্ষা, সংগীত ও স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে উপজেলায় সেরা বিদ্যালয় হিসাবে বেশ সুনাম রয়েছে ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা খাতুন বলেন, শ্রেণী কক্ষের অভাবে পাঠদান বাধা হয়ে দাড়ায় ।