বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের এস.এম রবি
#সুলতান আল একরাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
চোখে যদি না থাকে অালো, তবে তার কাছে এ রঙিন সুন্দর পৃথিবী অন্ধকারময়। অন্ধ চোখে পৃথিবীর সবই কালো। তবে সেই অন্ধ চোখে আলো দেখাতে পারে মৃতের চোখ। একজন মৃতের চোখ মূল্যহীন। তবে সেটি অমর হতে পারে অন্যকে দানের মাধ্যমে। ঠিক তেমনিভাবে নিজের দৃষ্টিকে অমর করে রাখতে গত ১৬ তারিখে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে চক্ষুদান করেন ঝিনাইদহের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ” মাদার তেঁরেসা ব্লাড ব্যাংকের ” পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এম রবি।
রবি জানান, দেশে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। যার সাড়ে ৫ লাখ মানুষ কর্ণিয়াজনিত কারণে দৃষ্টিহীন। এই মানুষদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব কর্ণিয়া প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। বর্তমানে দেশের মোট মৃত লোকের শতকরা দুই ভাগও কর্ণিয়া সংগ্রহ করতে পারলে এসব ব্যক্তি পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে।
ধর্মীয় কুসংস্কার, প্রশিক্ষণের অভাব ও উৎসাহমূলক প্রচারণা কম থাকায় বাংলাদেশে মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মহৎ কাজ থেকে পিছিয়ে আছে। বর্তমানে পৃথিবীর মরণোত্তর চক্ষুদানের অংশীদার শতকরা ৮০ ভাগ খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী। সেখানে মুসলমানরা এ কাজে শতকরা ০.১২ ভাগের অংশীদার। শুধুমাত্র ধর্মীয় গোঁড়ামী আমাদেরকে এ মহৎ কাজ থেকে পিছিয়ে রেখেছে।
অথচ ১৯৬৯ সালে মালয়েশিয়া, ১৯৭২ সালে আলজেরিয়া, ১৯৭৭ সালে জর্ডান, ১৯৭৯ সালে সৌদী আরবে অনুষ্ঠিত আলেমদের সর্বোচ্চ কাউন্সিলে চিকিৎসার প্রয়োজনে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের পক্ষে ফতোয়া জারি করে।
রবি সকল মানুষকে মরণোত্তর অঙ্গদানের আহবান জানান।
এস এম রবি, সরকারী কেসি কলেজ থেকে লেখাপড়া সমাপ্ত করে দৈনিক যশোর পত্রিকার ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত আছেন।