ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্তের কারণ ও সুস্থ রাখার উপায়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
Lung বা ফুসফুস মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্যপূর্ণ একটি অংশ। তবে আমাদের জীবনযাত্রা, পরিবেশ ব্যবস্থা, নগরায়নের কারণে ফুসফুসের বারোটা বাজতে বসেছে। এ সকল কারণে বর্তমানে ফুসফুসের নানা সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া আবশ্যক।
ফুসফুস প্রধানত দুটি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমত, নানা ধরণের অসুখ বিসুখের কারণে এবং দ্বিতীয়ত, জন্মগত অসুখ। জন্মগত অসুখ প্রতিরোধ করা না গেলেও ফসুফুসের আরো অর্জিত বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করা যায় সহজেই।
ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিভিন্ন কারণ নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. যক্ষ্মার জন্য ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. মশার কয়েল থেকেও ফুসফুসের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে।
৩. কয়লা খনিতে যারা কাজ করে তাদের যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন ফুসফুসের অসুখ দেখা যায়। ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪. দূষিত পরিবেশ ফুসফুসকে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ৫. ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া যাতে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে এগুলো ফুসফুসের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক।
৬. দুর্ঘটনা জনিত কারণে এবং ফুসফুসে আঘাতের কারণে এর ক্ষতি হয়।
৭. বিভিন্ন খনি অঞ্চলে ফুসফুসের অসুখ বেশী হয়।
ফুসফুস জীবন রক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ। যদিও একটি ফুসফুস নিয়ে বাঁচা সম্ভব কিন্তু দুটি ফুসফুসই যদি রোগাক্রান্ত হয় তবে মৃত্যু অনিবার্য।
ফুসফুস সুস্থ রাখতে নিম্নবর্ণিত নিয়ম মেনে চলতে হবে-
১. ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান। সর্ব প্রথম ধূমপানকে চিরবিদায় জানাতে হবে। ধূমপান ফুসফুসের অনেক ক্ষতি করে।
২. মশা তাড়াতে কয়েলের পরিবর্তে মশারী ব্যবহার করতে হবে।
৩. অ্যালার্জি দীর্ঘদিন থাকলে ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হয়। যেসব খাবারে অ্যলার্জি হয় তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ধোঁয়াজনিত পরিবেশে অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
৫. কলকারখানার ধোঁয়ার ব্যাপারে যথাযথ আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে এবং পরিবেশে বান্ধব যানবাহন আবিষ্কার ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৭. যক্ষ্মা রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। কাছে গেলে মাস্ক পড়তে হবে।
৮. জন্মগত ফুসফুস রোগে যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।
৯. বাড়ির চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
১০. ফুসফুস রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।