সেচ খালে পানি সংকটে ঝিনাইদহের কৃষকরা
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপ-বিভাগ এলাকায় আগাছা ও ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে কয়েকটি সেচ খাল। এতে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বছরের পর বছর সংস্কার না করায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতাধীন খালের মধ্যে এখন শুধুই আগাছা।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, পাড় কেটে খালের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণ ও আগাছা সৃষ্টির কারণে সেকেন্ডারি ৯/কে (এসনাইনকে) সেচ এলাকার ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে পানি পাচ্ছেন না তারা। সেচ খালের মধ্যে ঘন জঙ্গল ও আগাছায় পানি সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা তাদের চলাচলের সুবিধার্থে আউসিয়া গ্রামে সেচ খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা বানিয়েছেন।
সেচ খাল ব্যবস্থাপনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফা আজমল মুকুল জানান, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালটি শৈলকুপা উপজেলার কাতড়লাগাড়ি থেকে মনোহরপুর ইউপির দামুকদিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্রহ্মপুর, মৌকুড়ি, গোয়ালবাড়িয়া, আউসিয়া, সাতগাছি, খালকুলা, বিজুলিয়া, মনোহরপুর ও দামকুদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠে পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ খালটি। কিন্তু ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় সেটাও আগাছায় ভরে গেছে।
তিনি আরো বলেন, খালে পানি না থাকায় আউসিয়া এলাকার কয়েক ব্যক্তি বাঁধ দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করে নিয়েছেন। কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে কৃষকরা কয়েক কোটি টাকার ফসল থেকে প্রতিবছরই বঞ্চিত হচ্ছে।
কৃষক সংগঠক রাশিদুল হাসান বলেন, সেচের পানি সরবরাহের মৌসুম শুরু হলেই জিকে সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তরা সুর তোলেন জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কারের বাজেট নেই। কর্মকর্তাদের এই কথা শোনার পর গত বছর স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ছয় কিলোমিটার সেচ খাল আগাছা মুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে সেচ প্রকল্পের উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিকর্ণ দাস জানান, বিগত বছরগুলোতে পর্যাপ্ত বাজেট-বরাদ্দ না থাকায় সময়মত পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এবার বাজেটে বরাদ্দ থাকছে বিধায় জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কারসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।