ছেলেধরা সন্দেহে ৯৯৯ কল দিন, গণপিটুনি নয়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি গুজব বা সন্দেহের ভিত্তিতে আইন হাতে তুলে না নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তার নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
গত কয়েকদিনে গণপিটুনিতে কয়েকটি মৃত্যু ঘটার প্রেক্ষাপটে সন্দেহের উপর ভিত্তি করে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
সোমবার (এক তথ্য বিবরণীতে সরকার) এক তথ্য বিবরণীতেগুজবে কান দিয়ে গণপিটুনিকে দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছে সরকার। এতে গুজব ছড়ানো এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যে দণ্ডনীয় অপরাধ, সে বিষয়েও নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। এই ভ্রান্ত গুজব ছড়ানোর হোতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সরকারের তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক গুজব ছড়িয়ে ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষ পিটিয়ে হতাহত করা সংক্রান্ত খবরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে কোন ধরনের গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি ও গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ।
তথ্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৯৯৯ এ কল করে দ্রুত পুলিশের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলছে। এতে ইতোমধ্যে অন্তত ছয়জন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। গুজবে গণপিটুনির ঘটনা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।