অভিভাবক–গুলজার হোসেন গরিব
#ঝিনাইদহের চোখঃ
অভিভাবক; আজ কোনো উপায় না দেখে
আমার অব্যক্ত ব্যথার মনোপাণ্ডুলিপি থেকে
কিছু প্রশ্ন করতে চাই।
বুকে বিশ্বাস ভাঙার যে আগুন
আগ্নেয়গিরির লাভা নির্গত করছে।
উত্তপ্ত তরল,নিম্নভূমিতে ছড়িয়ে পড়ছে
পুড়িয়ে দিচ্ছে পাদদেশে থাকা সাধারণ জনজীবন।
পোড় খাওয়া জীবন,জুলুমে ঝলসানো আশা,
জলপ্রপাত নির্গত লাল চোখ,ক্লান্ত পথিকের
সঙ্কুচিত নিঃশ্বাস,পদদলিত শীর্ণ স্বপ্ন,
আশ্বাসে ভাঙা আত্মবিশ্বাসের নিঃশব্দ কান্না।
জিজ্ঞেস করতে চায় তুমি কী অভিভাবক?
সন্দেহ হয় তোমার প্রতি,তুমি অভিভাবক কি না।
অবহেলিতদের দিকে তোমার একটুও লক্ষ্য নেই।
তোমারই পোষ্য মনুষ্য হায়েনা খুবলে খুবলে খায়
সাধারণ মানুষের রক্ত মাংস,তুমি অকৃতকার্য।
ধর্ষণ-বৎকার-নির্যাতন-নিপীড়ন করে
তোমার সামনে,উচ্ছৃঙ্খল-বর্বর-সন্ত্রাসীরা।
রাস্তায় পিটিয়ে নির্দোষ মানুষ মারে,আইন হাতে
তুলে নেয় পেশি ক্ষমতা,তুমি অচেতন দর্শক।
চোর দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর খুনী উন্মুক্ত,
যারা রাতারাতি “আগুল ফুলে কলাগাছ”
তুমি যেনো তাদের আশ্চর্য প্রদীপ।
ভণ্ড,প্রতারক, মিথ্যুকেরা জ্ঞান দেয়
বিপথগামী অন্ধরা আজ পথ দেখায়
লুটেরা লুট করছে সবুজ স্বর্ণমহল
খুনিরা খুন করে উন্মুক্ত মঞ্চে নাচ করে
মাতালেরা জঘণ্য-বেপরোয়া-ধ্বংসুক
যারা মনোরম মানবতা মুছে দিতে চায়
যারা সাধারণ জনজীবনকে পরিবার ভাবে না
তুমি কি এদেরই লোক?
আজ তোমার স্বপ্ন, শক্তি, ইচ্ছা নীতিহীন,উন্মাদ,
উগ্র,লুটেরা,অসভ্য-ইতর,লোভি,সন্ত্রাসী,
সুবিধাবাদী-বেইমান প্রতারকেরা পরিচালনা করে
যারা প্রতিনিয়ত অতিষ্ট করে তুলছে
সাধারণ জনজীবন,ভাঙছে বাঁচার বিশ্বাস।
যারা দেশকে ঠকিয়ে দেশের,মানুষকে ঠকিয়ে
ক্ষমতা বিলাসিতার রং মহলে বাস করতে চায়,
এরাই কি তোমার আদর্শের সৈনিক?
তুমি কি এদেরই পিতা?
আর বাকি সব জীবন তোমার কাছে তুচ্ছ?
নতুবা ওরা আজ পার পেয়ে যায় কি করে।
বড্ড মনে পড়ছে “পদ্মা নদীর মাঝি”
“ঈশ্বর থাকেন ভদ্র পল্লিতে”।