ধর্ম ও জীবন

ঝিনাইদহে ৬ দফা দাবিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন

#ঝিনাইদহের চোখঃ

সীমাহীন অপপ্রচার, হত্যার হুমকি, হামলার উস্কানি ও ফতোয়া দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ।

ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবে ৪ আগস্ট-১৯ রোজ রবিবার বিকাল ৩ টায় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময়ে হেযবুত তওহীদের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি মো: জুবায়ের আহমেদ নুহু ৬ দফা দাবিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং হেযবুত তওহীদের
যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুজ্জামান মিলন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ।

জেলা সভাপতি মো: জুবায়ের আহমেদ নুহু লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘১৯৯৫ সালে করটিয়ার দাউদ মহলে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা থেকেই এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে সেই শ্রেণিটি যারা ইসলামকে তাদের রুটি-রুজির মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে এবং যারা অপরাজনীতিতে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জাতি বিনাশী কর্মকা- ঘটিয়েছে। এ শ্রেণিটি জনগণের কাছে হাজারো বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য, গুজব, বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে হেযবুত তওহীদের মতো মহান একটি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করে এসেছে। শুধু তাইনয়, ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়েছে, হত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা আমাদের চারজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। বহুজনকে আহত করেছে, বহু বাড়িঘর ভস্মীভূত করেছে, লুটপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, বহু সদস্যকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। সম্প্রতি এই শ্রেণিটি আরও ব্যাপক পরিসরে দেশজুড়ে সীমাহীন অপপ্রচার, হত্যার হুমকি, হামলার উস্কানিও ফতোয়া দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে গভীরভাবে লিপ্ত হয়েছে।’

হেযবুত তওহীদ আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত ইসলাম নিয়ে দাঁড়িয়েছে দাবি করে জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ হেযবুত তওহীদ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছে। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক জনসভা, সমাবেশ, সেমিনার, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, র্যালি ইত্যাদি সারা দেশে করেছে। আমরা আল্লাহর কোর’আন ও শেষ রসুল মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ পরিপন্থী একটি কথাও বলিনি।

তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হেযবুত তওহীদের দাবি হলো-
১. গ্রামেগঞ্জে, শহরে-বন্দরে ওয়াজ মাহফিল করে, খোতবায় আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী হুমকি প্রদানকারী ফতোয়াবাজ বক্তাদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদেরকে যারা জীবননাশসহ ক্ষয়ক্ষতি সাধনের হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইসিটি আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. দেশ ও জাতির স্বার্থে ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদ, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি, মাদক ইত্যাদির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হেযবুত তওহীদের প্রচারকার্যে কোনো ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা অন্য কোনো ষড়যন্ত্রকারী যেন বাধা প্রদান করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
৪. যেভাবে আমাকে এবং আমাদের সদস্য-সদস্যাদেরকে প্রাণনাশের, এমনকি আত্মঘাতী হামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাতে আমরা আশঙ্কা করছি আমরা যে কোনো জায়গায়, যে কোনো সময়ে আক্রান্ত হতে পারি। এমতাবস্থায় আমার ও আমার সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
৫. ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি সমাজ বিনির্মাণে আমরা নিঃস্বার্থভাবে কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধিহীন যে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি তার গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের বক্তব্য গণমাধ্যমকর্মীগণ জনগণের সামনে যেন তুলে ধরেন এ ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা কামনা করছি।
৬. অবিলম্বে সকল ওয়াজ মাহফিলে, মসজিদের খোতবায়, ধর্মীয় সমাবেশে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও উস্কানি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে।

এ সময়ে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ বাবলু মুন্সি, ঝিনাইদহ জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ চকম আলীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যাযের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button