ধীরে হাঁটলে যেসব ক্ষতি হয়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
শরীর ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়ের একটা হলো হাঁটা। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস থাকলে যেমন অসুখ-বিসুখ দূরে থাকে তেমনই বেশি বয়স পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকা যায়। হাঁটার আরও উপকারিতা হলো, এই ওয়ার্ক আউটে শারীরিক চোট লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়া নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে শতকরা ২৭ ভাগ পর্যন্ত উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা কমে। ফলে হার্টের বিভিন্ন রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক জরিপে দেখা গেছে, নিয়মিত হাঁটাচলা করলে একাকিত্বের অনুভূতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া ৮৩ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এতে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
তাই বলে কিন্তু শুধু হাঁটলেই ফল মিলবে না। বরং হাঁটাহাঁটি করে আপনি কতটা উপকৃত হবেন, তা নির্ভর করছে, আপনি কী ভাবে হাঁটছেন তার ওপর। যেকোনো ব্যায়ামের মতো হাঁটার ক্ষেত্রেও আপনি কতক্ষণ হাঁটছেন এবং কতটা জোরে হাঁটছেন তার ওপর সুফল-কুফল নির্ভর করে।
মার্কিন গবেষণাপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যে ধীরে হাঁটলে শুধু যে আপনি হাঁটার উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হবেন তাই নয়, ভবিষ্যতেও নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। তাই হাঁটার জন্য হাঁটা নয়, অভ্যাস করুন যতটা সম্ভব জোরে হাঁটার।
এমনকী বৃদ্ধ বয়সে আপনি কতদিন কর্মক্ষম থাকবেন, তা নির্ভর করছে আপনি অল্প বয়সে কেমন হাঁটাহাঁটি করেন তার ওপর। বিশেষ করে মহিলারা অল্প বয়সে হাঁটাহাঁটি করলে বেশি বয়সে গিয়ে ডায়াবেটিস, হাঁটুর ব্যথা, ডিপ্রেশন এবং স্থুলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। হাঁটার গতি কেমন, তার ওপরেই নির্ভর করে শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনি কতটা ফিট থাকবেন।