চকোলেট খান, ওজন কমান
#ঝিনাইদহের চোখঃ
বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা আবার চকোলেট দেখলেই জিভে জল। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ চকোলেট এমনই এক লোভনীয় খাবার যা দেখে এড়িয়ে চলা মুশকিল। তবে আপনার জন্য আছে বিশেষ একটি সুখবর।
চকোলেটের বিশেষ কিছু গুণের কথা ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। চকোলেটে থাকা উদ্ভিজ্জ ফ্ল্যাভোনয়েড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ কার্যকর। ফ্রি র্যাডিক্যালসের মাত্রা যেমন এতে নিয়ন্ত্রিত থাকে, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাই চকোলেট ঠাঁই পেয়েছে ‘সুপারফুড’-এর তালিকায়।
কষ্টকর ব্যাপার হলো এই চকোলেটেই থাকে প্রচুর চিনি ও ফ্যাট বাড়ানোর মতো নানা উপাদান। আর তার পুষ্টিগুণও খুব একটা থাকে না। তাই ডায়েট থেকে সবার আগেই বাদ পড়ে চকোলেটের নাম। খেতে মন চাইলে সেই এক ডার্ক চকোলেট। ডিপ্রেশন কাটাতে, স্ট্রেস সরাতে আবার এই চকোলেট দরকার হয়ই। তাই বলে কি শুধু ডার্ক চকোলেটই খেয়ে যেতে হবে?
এখানেই রয়েছে সুখবর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চকোলেট খেলেও শরীর থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণেই। বাড়তি ওজন তো হবেই না, বরং নিয়ম মেনে খেলে স্ট্রেস কমবে আর সেইসঙ্গে কমবে ওজনও। সাধারণ চকোলেটের চেয়ে ডার্ক চকোলেটই শরীরের জন্য ভালো।
তাই চকোলেট খাওয়ার আগে দেখে নিন, তা ৭০-৮০ ভাগ কোকোমুক্ত কি না। তার মানে এই নয় যে মিল্ক চকোলেট খেতে হবে, বরং কোন কোন ডার্ক চকোলেটে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা দেখেও চকোলেট খেতে পারেন। দিনে তিন-চার টুকরো ডার্ক চকোলেটে ক্ষতি তো নেই, বরং লাভ হয় অনেকটা।
দিনে ৪০-৫০ গ্রামের বেশি চকোলেট না খাওয়াই ভালো শরীরে ১৫০-২০০ ক্যালোরির বেশি এই খাবার থেকে প্রবেশ করতে দেবেন না। তবে যদি একান্তই একটু বেশি খেয়ে ফেলেন, তাহলে পরের দিন শরীরচর্চার জন্য অন্য দিনের চেয়ে আধ ঘণ্টা বেশি সময় দিন।
সাঁতার কাটার সুযোগ থাকলে সেটাই কাজে লাগান। প্রতিদিন সাঁতার কাটুন অতিরিক্ত ১৫ মিনিট।
সাইকেল চালানোর অভ্যাস থাকলে সে দিন অন্য দিনের তুলনায় মিনিট ২০ বেশি সাইকেল চালান বা হাঁটুন। তাতেও
অনেকটা চকোলেট খেয়ে ফেলার পরের দিনের ডায়েট থেকে বাদ দিন ফ্যাটজাতীয় সব খাবার। সেদিনের ডায়েটে রাখুন সালাদ ও প্রোটিন।
প্রতিদিন রুটিন মেনে চলুন। ঠিক সময়ে খান এবং ঠিক সময়েই ঘুমাতে যান। খাওয়াদাওয়ার পরিমাণটা বেশি হলে এই নিয়ম মানতেই হবে।